আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

গুরুতর করোনা রোগীদেরই শুধু হাসপাতালে ভর্তি করবে জাপান

জাপানে করোনা আক্রান্ত হলেই হাসপাতালে ভর্তি করা যাবে না। শুধু গুরুতর রোগীরাই পাবে হাসপাতালের বেড। এমন সিদ্ধান্তই নিতে যাচ্ছে জাপান। দেশটিতে কয়েকদিন ধরে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ায় হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতেই নেওয়া হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত।

জাপানি গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, বুধবার কর্তৃপক্ষ বলেছে, যেসব রোগীর করোনার কম উপসর্গ রয়েছে তারা বাড়িতে আইসোলেশনে থেকেই চিকিৎসা নেবে। তবে সরকারের এ নিয়ে দেশটির নাগরিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

রাজধানী টোকিওর হাসপাতালগুলোতে প্রতি মুহুর্তে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এসব নতুন আক্রান্ত রোগীদের চাপে হাসপাতালগুলোর হিমশিম অবস্থা। ইতোমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ধারণ ক্ষমতার বেশি কোভিড রোগী।

বর্তমানে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোভিড আক্রান্ত রোগী নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন গড়ে সংক্রমিত হচ্ছে দেশটির প্রায় সাত হাজার মানুষ। এতে চাপ বেড়েছে হাসপাতালগুলোতে। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাধারণ ওয়ার্ডের পাশাপাশি চাপ বেড়েছে আইসিইউতেও। স্থান না থাকায় রোগীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে অনেক হাসপাতাল।

জাপানি চিকিৎসক হিরোনরি সাগারা বলেন, করোনা আক্রান্ত অনেক রোগী হালকা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ কারণে বেড পাচ্ছে না গুরুতর রোগীরা। ফলে অনেককে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুধু গুরুতর রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কম অসুস্থ বা হালকা অসুস্থদের নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যারা অসুস্থ হচ্ছে তাদের দ্রুত হাসাপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় আইসিইউসহ সাধারণ ওয়ার্ডেও চাপ বাড়ছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সেবায় যা প্রয়োজন সেই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছে এবং তুলনামুলক কম অসুস্থ তাদের বাড়িতেই থাকা উচিত। এই মুহুর্তে বেশি অসুস্থদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়াটা জরুরী।

তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে জাপান সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছে, চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো বাছ বিচার উচিত নয়। সবারই চিকিৎসা পাওয়ার সমান অধিকার আছে।

জাপানে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি। তবে দেশটিতে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এই সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন