আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পরীমনিকে নাটকবাজ বললেন মালেক আফসারী

পরীমনি ইস্যুতে জনপ্রিয় নির্মাতা মালেক আফসারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মনের ভিতর থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনারা দেরিতে হলেও ভালো কাজে নেমেছেন। এই অভিযান দরকার ছিল। না হলে আমাদের যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যেত। কিন্তু কথা একটাই হেলেনা, পিয়াসা, মৌ সর্বশেষ পরীমনিকে আটক করলে হবে না। এদের পিছনে বড় বড় রাঘব বোয়ালদের ধরতে হবে। তা না হলে এক পরী যাবে আরেক পরী আসবে, এক পিয়াসা যাবে আরেক পিয়াসা আসবে। এভাবেই চলতে থাকবে।

বুধবার (৪ আগস্ট) বনানীর বাসা থেকে ভয়ংকর মাদক এলএসডি, আইস, ইয়াবা ও বিপুল মদসহ আটক হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। আজ বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। 

এদিকে পরীর এমন কাণ্ড নিয়ে কথা বলতে লাইভে আসেন জনপ্রিয় নির্মাতা মালেক আফসারী। লাইভে এসে এই নির্মাতা পরীমনিকে একজন নাটকবাজ বলে দাবি করেন।

মালেক আফসারী বলেন, র‌্যাব সদস্যরা দিনের বেলায় এ অভিযান পরিচালনা করে। তাই পরী ফেসবুক লাইভে না এসে তাদের সাহায্য করতে পারতো। র‌্যাব সদস্যরা সুনির্দিষ্ট কারণের ভিত্তিতেই নায়িকার বাসায় এসেছে। অভিযোগ ছাড়া তারা কেন একজন নায়িকার বাসায় যাবে? এতদিন তো তারা গেল না।

এরপর তিনি বলেন, আমি মনে করি কারণ ছাড়া কেউ কারও বাসায় অভিযানে যায় না। কারণ যেটাই হোক সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে হবে। এভাবে বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দাঁড় করিয়ে রাখা তার ঠিক হয়নি।

ঢাকা বোট ক্লাবের প্রসঙ্গ টেনে এ গুণী নির্মাতা বলেন, এর আগে ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনায় তোমার পক্ষে কথা বলে আমাকে মানুষের নানা কথা শুনতে হয়েছে। কি আর করমু বাঁশ খাইলাম, নিজেদের পরিবারের সদস্য তো। যাই হোক ছেলে-মেয়ে অন্যায় করলে মাঝে মধ্যে বাপ-মাকেও বকা শুনতে হয়। তাই আমিও শুনেছি।

এ সময় পরীকে নাটকবাজ দাবি করে মালেক আফসারী বলেন, দরজা না খোলার কারণ, সে ভয় পাইছে। আসলে সে ভয় পাইছে না নাটক করছে! কে জানে। সে নাটকবাজ তো। তার পক্ষে কথা বললে আমার বিপদ আছে। কারণ এর আগে খুব বাঁশ খাইছি। সাত-আট মাস আগে সে কিছু উল্টাপাল্টা ছবি ফেসবুকে দেয়। আমি এ নিয়ে তাকে হুঁশিয়ার করেছিলাম। বলেছিলাম এটা ঠিক না, এটা মুসলিম দেশ। সে ফেসবুকের মাধ্যমে জবাব দিয়ে বলেছিল, আপনি ডিরেক্টর আছেন, ছবি ডিরেকশন দেন। আমাকে ডিরেকশন দিয়েন না।

তিনি বলেন, আমি আবার মাইন্ড করি নাই, থাক পোলাপাইন! তারপরও বোর্ড ক্লাবের ঘটনায় তার পক্ষ নিয়ে বলেছি, এটা বিচারের আওতায় আনা উচিত। এটাও জনগণ মেনে নিতে পারেনি। এখন আমি দেখতে চাই কি ঘটনা ঘটে। কারো পক্ষ নিয়ে কথা বলতে চাই না। 

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন