মা-মেয়েকে পিলারে বেঁধে টিকটক ভিডিও!
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মা ও মেয়েকে পিলারের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন ও সেই দৃশ্য টিকটক ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেয়ের বাবা ইদ্রিস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এর আগে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বুড়িরচর ৫নং ওয়ার্ড রেহানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা হলেন- ওই গ্রামের মো. ইদ্রিসের স্ত্রী ঝুমুর আক্তার ও তার মেয়ে কুসুম আক্তার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাড়ির জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একই বাড়ির মো. জহির উদ্দিনের ছেলে মো. জিল্লুর রহমানসহ (২০) অজ্ঞাত আরেও ২/৩ জন মিলে মো. ইদ্রিসের স্ত্রী ঝুমুর আক্তার ও তার মেয়ে কুসুম আক্তারকে রশি দিয়ে পিলারের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে।
ওই সময় জিল্লুর মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরে তা নিজের টিকটক আইডিতে তাদের চোর হিসেবে উপস্থাপন করে ছড়িয়ে দেয়। ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান ইদ্রিস জানান, এরা এলাকায় প্রভাবশালী। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে চায় না। ঘটনার দিন মা মেয়েকে ঘরের পিলারের সঙ্গে বেধে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে শুনে অনেকের কাছে সহযোগীতা চেয়েছেন। কিন্তু কেউ সহযোগীতা করতে এগিয়ে আসেন নি। পরে ইউপি সদস্য ইরাক এসে তাদেরকে উদ্ধার করেন।
বুড়িরচর ইউনিয়নের রেহানীয়া গ্রামের ইউপি সদস্য ইরাক জানান, ঘটনার দিন ইদ্রিস মোবাইলে তাকে ঘটনাটি জানান। পরে সে ভুক্তভোগীর বাড়ী এসে মা ও মেয়েকে বেঁধে রাখা অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। অভিযুক্ত নবীর উদ্দিন জানান, ঘটনার দিন মা ও মেয়ে দা নিয়ে তাদেরকে আক্রমণ করায় মহিলারা দুজনকে বেঁধে রাখে। তাবে কাউকে নির্যাতন করা হয়নি।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কায়সার খসরু জানান, ভুক্তভোগী নারী বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে আমার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক হাতিয়া থানার ওসিকে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।