১০ ট্রাক অস্ত্র চালানের নেপথ্যে তারেক রহমান ও তার ঘনিষ্ঠরা
২০০৪ সালে বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান ও তার ঘনিষ্ঠরা ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান আনার নেপথ্যে জড়িত ছিলেন। যে চালান জব্দ হয়েছিলো চট্টগ্রামে। মূলত হাওয়া ভবনের চ্যানেল ধরে ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের কিছু কর্মকর্তা সেটি আমদানি ও খালাসে মাঠপর্যায়ে সমন্বয় করে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে দেশটির প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিআইএ-এর সাবেক উপ প্রধান মেজর জেনারেল গগনজিৎ সিং এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধুদের সাথে ঘনিষ্ঠ ডিজিএফআই ও এনএসআই কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ওই ঘটনা ঘটে।
মূলত, বিএনপি-জামায়াত জোটের মাধ্যমে বাংলাদেশে সৃষ্ট অভয়ারণ্যের সুযোগে তারা ওই অস্ত্র সরবরাহ করেছিলো।
২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ শাসনামলে হাওয়া ভবন সবচেয়ে সুরক্ষিত প্রভাবশালী ও বিকল্প পাওয়ার হাউস হিসাবে কুখ্যাতি অর্জন করেছিল। ওই সময় তারেক রহমান নিজের ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। হাওয়া ভবন থেকে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলাসহ বহু ন্যাক্কারজনক চক্রান্ত সংঘটিত হয়।
অর্থ পাচার সংক্রান্ত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বর্তমানে লন্ডনে পালিয়ে থাকছেন তারেক রহমান। সেখান থেকেই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশের প্রথম সামরিক স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার এই সন্তান।
১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের সময় সেটি ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) বলে দাবি করা হয়। তবে উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া (গোলাপ বড়ুয়া) সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে বলেন, অস্ত্রগুলো শুধু উলফার জন্য নয়, আরও বিদ্রোহীদের জন্য আনা হয়েছিল। তার এ বক্তব্য সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনার ঝড় তোলে।
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে গ্রেপ্তারের সময় উলফার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অনুপ চেটিয়া। ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়ার সময় তিনি জেলে ছিলেন।
এবার সেই ঘটনার নতুন দ্বার উন্মোচন করলেন মেজর জেনারেল গগনজিৎ সিং। সাবেক এই কর্মকর্তার দাবি, ভারতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জামায়াত জোটের সহায়তায় ওই অস্ত্র আনা হয়।
তবে শুধু ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা) নয়, ওই অস্ত্র আনা হয়েছিল একই অঞ্চলের আরও কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জন্যও।
গগনজিৎ সিংয়ের দাবি, উলফা কমান্ডার-ইন-চীফ পরেশ বড়ুয়া আসামে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে তীব্র করার জন্য অস্ত্র সংগ্রহে পুরো চক্রান্তের মূল পরিকল্পনা করেন।