আর্কাইভ থেকে আফ্রিকা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের মুখোমুখি ওমর আল-বশির

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসিতে বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির। বুধবার দেশটির মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। কয়েকজন কর্মকর্তাকেও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে হস্তান্তর করা হবে। মঙ্গলবার সুদান সফররত আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খানের সঙ্গে বৈঠকে এই ঘোষণা দেন সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরিয়াম আল-মাহদি।

ইরানি গণমাধ্যম পার্স টুডে জানায়, মারিয়াম আল-মাহদি জানিয়েছেন, দারফুরে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হন ওমর আল-বশির। তার সঙ্গে দারফুর সংকটে জড়িত আরও কয়েকজন শীর্ষ সাবেক কর্মকর্তাও আইসিসিতে বিচারের মুখোমুখি হবে। ২০০৯ সালে প্রথম বশিরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।

মারিয়াম বলেন, বশিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তাকে আইসিসির কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুদানের মন্ত্রিসভা। তবে কবে নাগাদ তাদের হস্তান্তর করা হবে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেননি তিনি। বর্তমানে সুদানের রাজধানী খার্তুমের কোবার কারাগারে বন্দী রয়েছেন ৭৭ বছর বয়সী বশির।

এক দশকেরও বেশি সময় আগে ২০০৩ সালের দিকে দারফুর সংকট শুরু হয়। ওই সময় রাজধানী খার্তুমে সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে ওঠে। খার্তুম সরকারের বিরুদ্ধে অনারব বিদ্রোহীরা বিদ্রোহ শুরু করলে সহিংসতা শুরু হয়। তাদের দমনে একের পর এক গ্রামে হত্যাযজ্ঞ চালায় সরকারি বাহিনী। সেখানে বশির গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ওই সময় তিন লাখ নাগরিককে হত্যা করা হয়েছিল। বাস্তুচ্যুত হয় ২৫ লাখ মানুষ।

তিন দশক সুদান শাসনের পর ২০১৯ সালে গণবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির।

ওমর আল-বশিরের দীর্ঘ শাসনকালে আইসিসিতে যোগ দেয়নি সুদান। তবে, গেল সপ্তাহে আইসিসিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে একটি আইনে স্বাক্ষর করে সুদানের মন্ত্রিসভা।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন