রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক তরুণীকে (২১) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের হাসেমপুর পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রাতেই ছাতক থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ভিকটিম (২১) নিজ বাড়ি থেকে তার নানাবাড়ি যাচ্ছিল। পথে উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা মতিউর রহমান মতিন (২৬) ও দিলদার হোসেন (২৮) তাকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে। এর পর পার্শ্ববর্তী সিংচাপইড় ইউনিয়নের হবিপুর গ্রামে মতিউর রহমানের চাচাতো বোনের একটি বাংলোঘরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে তার ওপর অমানবিক নির্যাতন ও পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা।
পরে একটি নৌকা দিয়ে ভিকটিমকে তারা একই ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের বিল্লাল হোসেনের (২৬) বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে বিল্লাল ও কামরান (২৬) নামের দুই যুবক তার ওপর অমানবিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করে।
পরে মেয়েটির পরিবারের লোকজন তাকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বিল্লাল হোসেনের বাড়ি থেকে গায়ের কাপড় ছেঁড়া অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন মতিউর রহমান মতিন ও দিলদার হোসেনকে আটক করে উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে কামারগাঁও বাজারে অভিযান চালিয়ে বিল্লাল হোসেনকেও পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় ছাতক থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রাতেই করেন মেয়েটি।
এ ব্যাপারে ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, মামলার প্রধান তিন আসামিকে পুলিশ আটক করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মুক্তা মাহমুদ