ভ্যাকসিনের কোনো অভাব নেই, ভবিষ্যতেও হবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভ্যাকসিনের কোনো অভাব নেই, ভবিষ্যতেও ভ্যাকসিনের অভাব হবে না। দেশের সবাই ভ্যাকসিন পাবেন। বললেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও মুজিব কর্নারের উদ্বোধন এবং অডিটোরিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই দেশে ৭০ লাখ ভ্যাকসিন আনা হয়েছে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি আরো ২৫ লাখ ভ্যাকসিন আনা হচ্ছে। এভাবে প্রতি মাসেই নিয়মিতভাবে ভ্যাকসিন আনা হবে। ফলে ভ্যাকসিনের অভাব কখনই হবে না এবং দেশের সবাই ভ্যাকসিন পাবেন।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রতিটি ভ্যাকসিন কেন্দ্রের স্থানীয় লোকের হার ও চাহিদা অনুযায়ী প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে। কোনো কোনো কেন্দ্রে এই চাহিদা ও রেজিষ্ট্রেশনের হার তুলনামূলক অনেক বেশি হয়ে গেছে। এ কারণে কিছু কেন্দ্রে ভ্যাকসিন স্বল্প সময়ের জন্য কমে গেলেও সময় মতো সেখানে চাহিদা মাফিক ভ্যাকসিন পাঠিয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন গ্রহণে ইচ্ছুক যেকোনো ব্যক্তি সুরক্ষা এপে রেজিষ্ট্রেশন করলে তিনি দুই দিন আগে পরে ভ্যাকসিন অবশ্যই পাবেন। কোনো কেন্দ্রে রেজিষ্ট্রেশন করা ব্যক্তির সংখ্যা বেশি সংখ্যক হলে সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন গ্রহণের তারিখ কিছুটা পেছনে চলে গেলেও ভ্যাকসিন পেতে কোনো সমস্যা হবে না।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ এখন পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরুই করতে পারেনি। আমরা শুরু করেছি এবং ইতোমধ্যেই ১৩ লাখ মানুষ টিকা নিয়েছেন ও প্রায় ২৫ লাখ মানুষ রেজিষ্ট্রেশন করেছেন। আপনারা সবাই নিশ্চিন্তে টিকা নিন, দেশে ভ্যাকসিনের কোনো অভাব নেই ভবিষ্যতেও হবে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকার দ্বিতীয় ডোজ চার সপ্তাহ পরে নেয়ার কথা ছিল, এখন তা আট সপ্তাহ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে এই সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ দেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্য তিন মাস সময় পাবেন। যত দেরিতে নিবেন, শরীরে তত বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হবে এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা অনেক বেশি হবে। এই জন্য আমরা দ্বিতীয় ডোজের সময় নির্ধারণ চার সপ্তাহের বদল আট সপ্তাহ করেছি।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের সংক্রমণের হার অনেক কম। সুস্থতার হার প্রায় ৯০ শতাংশ। ডাক্তার নার্সরা জীবন দিলো, কিন্তু সমালোচনা থামছে না। আমাদের প্রশংসা করতে হবে। প্রশংসা করলে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টরা আরো বেশি অনুপ্রাণিত হবে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকা ডেন্টাল হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যাল উন্মোচন সহ অডিটোরিয়ামের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং মুজিব কর্ণার উদ্বোধন করেন।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক এম এ আজিজ প্রমুখ।
শুভ মাহফুজ