আর্কাইভ থেকে ফুটবল

মেসির অভাব বুঝতেই দিলেন না ব্র্যাথওয়েট

করোনা বাধা কাটিয়ে ৫২৬ দিন পর ক্যাম্প ন্যুতে ফেরে বার্সেলোনা সমর্থকরা। যদিও অনুমতি ছিলো মাত্র ৩০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের। তবে প্রায় ১ লাখ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামে ৩০ শতাংশ দর্শকের সামনে খেলতে পারাটাই বা মন্দ কি? তাদের মাঝে গ্যালারিতে ফিরতে পারার ভালোলাগা থাকলেও প্রিয় তারকা লিওনেল মেসিকে হারানোর কষ্টও ছিলো। ম্যাচের দশম মিনিটে তো 'মেসি-মেসি' স্লোগানে স্টেডিয়াম ভারী করে সেই কষ্টের বহিঃপ্রকাশই ঘটালো কিউলরা।
 
যদিও দুর্দান্ত জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করে সেই সমর্থকদের কষ্ট একটু হলেও কমিয়েছে জেরার্ড পিকের দল। মার্টিন ব্র্যাথওয়েটের জোড়া গোলের সঙ্গে পিকে ও সের্হি রবার্তোর গোল- সব মিলিয়ে নিজেদের মাঠে রিয়াল সোসিয়েদাদকে ৪-২ গোলে হারিয়ে মেসি পরবর্তী যুগের সূচনা করেছে বার্সেলোনা। ম্যাচশেষে দলকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কোচ রোনাল্ড কোম্যান। এমন কিছুই হয়তো চাচ্ছিলেন সাবেক ডাচ কোচ। 

কিছুদিন আগেই গাম্ফার ট্রফি জিতেছে কাতালান ক্লাবটি। তবুও ১৮ বছর পর প্রথমবারের মতো মেসিকে ছাড়াই মৌসুম শুরু করতে যাওয়া বার্সাকে নিয়ে একটু হলেও সন্দেহ ছিলো। সে সন্দেহ দূর হতে পারতো ম্যাচের প্রথম মিনিটেই। আক্রমণাত্মক শুরু করা বার্সেলোনা তখনই এগিয়ে যেতে পারতো। তবে ব্রাথওয়েটের কাছের পোস্টে নেওয়া কোনাকুনি শট ঠেকিয়ে দেন সোসিয়েদাদ গোলরক্ষক আলেক্স রেমিরো।
 
দশম মিনিটে ওভারহেড কিকে চেষ্টা করেন অঁতোয়ান গ্রিজমান। শট লক্ষ্যে না থাকলেও প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরানোর জন্য ছিল যথেষ্ট। তিন মিনিট পর ফরাসি এই ফরোয়ার্ডের হেড বাধা পায় ক্রসবারে। একের পর এক আক্রমণে দলটির আক্রমণভাগ ইঙ্গিত দিয়েছিল  গোলের দেখা পাবার। যার শুরুটা করেন অধিনায়ক পিকে নিজেই। 

১৯তম মিনিটে ডান দিক থেকে মেমফিস ডিপাইয়ে ফ্রি কিকে দারুণ হেডে দলকে এগিয়ে নেন পিকে। বার্সেলোনার জার্সিতে এটি তার ৫০তম গোল, এর মধ্যে ২২টি হেডে। বিরতির ঠিক আগে আর হতাশ করেননি ইউরোতে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করা ডেনিশ ফরোয়ার্ড ব্রাথওয়েট। ডান দিক থেকে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের ক্রস ফাঁকায় পেয়ে কোনাকুনি হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রাথওয়েট।

২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বার্সেলোনা। প্রথামার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে স্বাগতিকরা। ৫৯তম মিনিটে তার দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান আরও বাড়ায় বার্সেলোনা। জর্দি আলবার শট গোলরক্ষক ঠেকালেও বল হাতে রাখতে পারেননি। আলগা বল ফাঁকায় পেয়ে জালে পাঠান ব্রাথওয়েট। লা লিগার ইতিহাসে প্রথম ডেনিশ ফুটবলার হিসেবে ম্যাচে জোড়া গোল করলেন তিনি।

৮২তম মিনিটে হুলেন লোবেতো একটি গোল শোধ করলেও তেমন কোনো ভাবনার কারণ ছিল না। কিন্তু খানিক পরই মিকেল ওইয়ারসাবাল দুর্দান্ত ফ্রি কিকে স্কোরলাইন ৩-২ করলে উত্তেজনা ফেরে। তবে পাঁচ মিনিট যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রবের্তো্র গোলে জয় একরকম নিশ্চিতই হয়ে যায়। ব্রাথওয়েটের ক্রস পেয়ে গোলটি করেন এই স্প্যানিয়ার্ড। এই গোলেই বড় জয়ে মেসি পরবর্তী যুগের শুরু করলো বার্সা। যে জয়ে নায়ক ব্রেথওয়েট-পিকেরা। 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন