আর্কাইভ থেকে চাকরির খবর

'তুই আমারে বাঁচতে দিলি না' বলে প্রবাসীর আত্মহত্যা

'তুই আমারে বাঁচতে দিলি না' দু'জনের ভিডিও কলের কথোপকথনের একটি ভিডিয়ো আপলোড করে ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দিয়ে গলায় দড়ি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছেন কবির হোসেন (২২) নামে এক মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবক। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের সুংগাই বুলুতে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন তিনি। কবির হোসেনের গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর সদর উপজেলার খালাসি কান্দী গ্রামে।

কবির হোসেনের আরেক ভাই মালয়েশিয়ার রাওয়াং এ কর্মরত মনির জানান, গত রবিবার (১১ অক্টোবর) আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটে। ফ্যাক্টরির সিসিটিভিতে পাওয়া ফুটেজে দেখা গেছে হাতে দড়ি নিয়ে তার ভাই ঘোরাফেরা করছেন, এর কিছুক্ষণ পর সে লাইট অফ করে দেয়। সকাল আটটায় ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তার সহকর্মীরা। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে তাকে পার্শ্ববর্তী সুংগাইবুলু হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানেই কবির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করে কর্তব্যরত ডাক্তাররা। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি অপমৃত্যু দায়ের করে মামলা হয়েছে।

এ দিকে মৃত্যুর আগে কবির হোসেনের ফেসবুকে দেওয়া সর্বশেষ স্ট্যাটাসে দেখা যায় সে ২.৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো আপলোড করে লিখেছে ‘তুই আমারে বাঁচতে দিলি ন’। মূলত এ ভিডিয়ো এবং স্ট্যাটাসকে ঘিরেই তার আত্মহত্যার রহস্য বলে মনে করছেন প্রতিবেশী জহির উদ্দিন বাদশা।

যদিও ভিডিয়োতে কোন শব্দ না থাকায় কি কথোপকথন হয়েছে বা ঐ তরুণীর সঙ্গে কি সম্পর্ক তাও স্পস্ট নয়। হাসপাতালে নিহত কবির হোসেনকে দেখতে যাওয়া বাদশা বলেন, ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখে মনে হচ্ছে প্রেম ঘটিত কারণে হতাশা থেকেই সে আত্মহত্যা করেছে। তবে মেয়েটি সম্পর্কে তার সহকর্মী ও স্বজনেরা কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

দেশে থাকা চাচা জসীম উদ্দিনের সঙ্গে টেলিফোনে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথোপকথনে জানা যায়, ২০১৬ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় আসেন কবির। স্বভাবে শান্ত প্রকৃতির কবির মালয়েশিয়ায় একটি ওয়ার্কশপে ভালো বেতনে কাজ করতেন, সেখানে সহকর্মীদের সঙ্গেও তার খুব ভালো সম্পর্ক।

ফেসবুকে দেওয়া ভিডিয়োতে থাকা মেয়েটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন কেউ এ মেয়েকে চেনেন না, তবে সবাইকে বলা হয়েছে মেয়েটিকে খুঁজে বের করতে।

অপর দিকে ময়না তদন্ত শেষে বুধবার (১৪ অক্টোবর) প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে জব্দ করা হয়েছে কবির হোসেনের ব্যবহারিক মোবাইল ফোনটি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন