আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

মুশফিক-সোহান দুজনেই কিপিং করবেন

কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারেননি দেশের এক নম্বর উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। তার অভাব টের পেতে দেননি নুরুল হাসান সোহান। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলে রয়েছেন দুজনেই। এখন প্রশ্ন উঠেছে- পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে কিপিং করবেন কে? অভিজ্ঞ মুশফিক নাকি দুর্দান্ত সোহান?

নিউজিল্যান্ড সিরিজ সামনে রেখে দলের অনুশীলনে সোহান ও মুশফিক দুজনকেই কিপিং অনুশীলন করতে দেখা যায়। কে মূল ম্যাচে কিপিং করবেন তা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। 

সোমবার (৩০ আগস্ট) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো পরিষ্কার করে দেন তাদের পরিকল্পনা। 

তিনি বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই সোহান কিপিং করবে প্রথম দুই ম্যাচে। এই সিরিজটায় আমরা উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে দেয়ার পরিকল্পনা করেছি আমরা। দুজনকেই (মুশফিক ও সোহান) দুটি করে ম্যাচে দেখা হবে, তারপর পঞ্চম ম্যাচে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

উইকেটকিপিং নিয়ে এমন পরিকল্পনার বড় কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গায় বড় আসরে আগেও ভুগেছে বাংলাদেশ দল। অনেকবারই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে মুশফিকের পারফরম্যান্স।

টেস্টে মুশফিক কিপিং ছাড়লেও ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে তাকেই প্রথম পছন্দের কিপার হিসেবে বিবেচনা করে আসছিল দল। কিন্তু দলে আরও দক্ষ কিপার থাকলে কেন সেই পথে হাঁটা হবে না, এই নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রশ্ন অনেক দিনের। ডমিঙ্গোর কথায় আভাস পাওয়া যাচ্ছে, সেসব কথা আমলে নিয়ে সামনে তাকাচ্ছেন তারা। তিনি বলেন, ‘ওই অপশনগুলো কাভার করা গুরুত্বপূর্ণ। সামনে তাকিয়ে এটিই পরিকল্পনা। তবে সোহান শুরুতে কিপিং করবে।’

ডমিঙ্গো বললেন, ‘মুশফিকের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত, সে চার নম্বরে ব্যাটিং করবে। সে এই জায়গাতেই সফল। সে ইনিংস ধরে রাখতে পারে। ম্যাচের মিডল ওভারগুলোতে এক-দুই রান নিতে পারে। সে একজন ভালো ম্যাচফিনিশার। তাকে দলে পাওয়া আমাদের জন্য ভালো খবর।’

৮৬টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মুশফিক। এর মধ্যে কেবল চার ম্যাচেই তিনি কিপিং করেননি। ওই চার ম্যাচে আবার উইকেটের পেছনে ছিলেন সোহানই। অনেকের মতে, দেশের অন্যতম সেরা কিপার সোহান ২৩ ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই গ্লাভস হাতে নেমেছেন।

বাংলাদেশ একাদশে কিপিংয়ে দক্ষ আরেকজনও নিশ্চিতভাবেই থাকবেন। সেই লিটন দাসের সাদা বলে বরাবরের মতো এবারও কেবল ব্যাটসম্যানের ভূমিকাই থাকছে।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু ১ সেপ্টেম্বর থেকে। পরের চার ম্যাচ যথাক্রমে ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর। আর সব ম্যাচই মিরপুর শেরেবাংলায় অনুষ্ঠিত হবে।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন