ফুলবাড়ীতে সড়কের বেহাল দশা, চরম দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের প্রানকেন্দ্র তিনকোণা মোড় থেকে ফুলবাড়ী ডিগ্রী কলেজ ও হাসপাতাল এলাকার মূল সড়কের বড় বড় গর্তে পরিণত হয়ে চলাচল ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ। অন্যদিকে ওই সড়কের পাশে ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনের কাজ শুরু হলেও নির্মাণ সামগ্রীর দাম চড়া হওয়ার অজুহাতে সুতফা নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৬ মাস ধরে কাজ বন্ধ হওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হাজারও মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটি খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টি হলেই সড়কে হাটু পানি হওয়ায় চলাচলে চরম ভোগান্তির যেন শেষ নেই। এই চরম দুর্ভোগে যাতায়াত করছে যানবাহন ও পথচারীরা। সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনকোনা মোড় থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত সামান্য বৃষ্টি হলেই বানের পানির মত ভরে যায় সড়কটি। নেই সেখানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। পানি জমে থাকায় গর্তে পরিণত হয়েছে সড়কটি। প্রতিদিনের মতোই পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে সড়কটি দিয়ে। নতুন করে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হলেও সেটি দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। পানি জমে থাকায় ওই সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। সড়কের দু’পাশে নেই মাটি।
উপজেলা সদরের নুর ইসলাম নরু ও অবিনাশ চন্দ্র রায় জানান, চরম ভোগান্তি নিয়ে প্রতিনিয়ত এই সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছি। তারা দ্রুত সড়কের মেরামতসহ পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেনের কাজ করার দাবী জানান।
ফুলবাড়ী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম রিজু জানান, দীর্ঘদিন উপজেলা সদর থেকে কলেজ যাওয়া সড়কটি বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারপরেও প্রতিনিয়ত চরম দূর্ভোগের শিকার শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারীসহ হাজারও মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে সড়কটি দ্রæত সংস্কারের জন্য জোড় দাবী জানান এই অধ্যক্ষ।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো.আসিফ ইকবাল রাজীব জানান, উপজেলা সদর অংশে ৪শ মিটার আরসিসি সড়কের সংস্কারের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার জানালেন, আমরা বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুততম সময়ে ঐ সড়কের কাজ শুরু করা হবে।
মুনিয়া