চাঁদাবাজি করতে গিয়ে এএসআইসহ গ্রেপ্তার ৫
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে চাঁদা দাবির অভিযোগে পিরোজপুর সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো শুক্রবার (৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পিরোজপুর সদর থানার এএসআই ও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামের রুবেল হোসেন ওরফে রানা (২৯), পিরোজপুর জেলা সদরের পান্তাডুবি গ্রামের মনির হোসেন (৩৫), একই গ্রামের সোহেল শিকদার (৩৩), চর লোহারকাটি গ্রামের আবুল কালাম (৩৫) ও শিকারপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৩২)।
আজ শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল হক।
কল্যাণপুর গ্রামের আশিকুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করতেন তিনি। গতকাল রাত ৮টার দিকে রুবেল হোসেনসহ পাঁচজন একটি প্রাইভেটকারে করে তার বাড়ির সামনে নামেন। এ সময় তাদের গ্রামের নজরুল ইসলাম নামের একজন তাদের সঙ্গে যোগ দেন। পরে ৬ জন তাদের বাড়িতে ঢুকে নিজেদের র্যাব হেডকোয়ার্টারের সাইবার ক্রাইম টিমের সদস্য পরিচয় দেন। অনলাইনে জুয়া খেলা চালানোর অভিযোগ তুলে আশিকুরের হাতে হ্যান্ডকাফ পরাতে যান তারা। এক পর্যায়ে ১ লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়। তাদের আচরণে সন্দেহ হলে চ্যালেঞ্জ করেন স্থানীয়রা। এসময় তারা পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা ৬ জনকে ধরে ফেলেন। এরমধ্যেই কৌশলে পালিয়ে যান কল্যাণপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৫)। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাকি পাঁচজনকে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দেন।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল হক বলেন, এ ঘটনায় ২টি হ্যান্ডকাপ, একটি রিভলবার ও ৮ রাউন্ড গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন এবং আসামিদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে পিরোজপুর সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক রুবেল হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আশিকুর রহমান মামলা করেছেন। এরমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নজরুল ইসলাম নামের একজন পলাতক।