আজও বিপুল সংখ্যক পুলিশ সুপ্রিম কোর্টে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজও (বৃহস্পতিবার) বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ২০ প্লাটুন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে অবস্থান নিয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজও নারী পুলিশ ও এপিবিএনসহ ৫ শতাধিক পুলিশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মোতায়েন থাকবে।
এদিকে আইনজীবীদের মধ্যে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সকাল ১০টা থেকে দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে। সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ অংশের মনোনীত উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা ভোটে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছেন। তারা নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
দিনভর হট্টগোল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের লাঠিচার্জ, ভাংচুর, পাল্টাপাল্টি মিছিল আর শ্লোগানের মধ্যে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ অংশের মনোনীত উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা ভোট প্রদান করলেও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা ভোট প্রদান থেকে বিরত থেকেছে। বুধবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া ভোটে দুই হাজার ২১৭ আইনজীবী ভোট দিয়েছেন বলে জানান আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। হট্টগোলের কারণে নির্ধারিত সময় সকাল ১০টায় ভোট গ্রহণ শুরু করা যায়নি। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
সকাল পৌনে ১০টা থেকে ভোট কেন্দ্রে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা অবস্থান নেন। তারা নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ভোটকেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিলনায়তনের ভেতর থেকে পুলিশ বের করে দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে আইনজীবী ও সাংবাদিকসহ প্রায় ৩০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ১২টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পরে একাধিকবার বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সংগঠিত হয়ে ভোট কেন্দ্রের দিকে বিক্ষোভ নিয়ে এগিয়ে আসে। পুলিশ ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে বার বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পরে বিকেল ৩টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থী। এরপর সাড়ে ৩টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে সমিতি প্রাঙ্গণে থাকা ভোটের প্যান্ডেলের দিকে যান। এরপর এক পর্যায়ে প্যান্ডেল ভাঙচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পরপর আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা শ্লোগানসহ পাল্টা মিছিল করেন। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সমিতি ভবনের মিলনায়তনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পুলিশ আবারও তাদের ধাওয়া করে। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সমিতির দুদিন ব্যাপী ভোট গ্রহণের প্রথম দিন অতিবাহিত হয়েছে।