জেসমিনের মৃত্যুর আসল কারণ জানালো চিকিৎসক
নির্যাতনে নয়, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণে নওগাঁর সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়। জানিয়েছেন তার মরদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দলের প্রধান ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান কফির উদ্দিন।
সোমবার (০৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান তিনি।
রোববার (০২ এপ্রিল) বিকেলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) ফরেনসিক বিভাগ।
সুলতানা জেসমিনকে গত ২২ মার্চ সকালে অফিসে যাওয়ার পথে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে আটক করে র্যাব।
ওই দিন দুপুর ১২টার পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, তিনি নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ মার্চ সকালে তার মৃত্যু হয়।
পর দিন ২৫ মার্চ রামেকে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে নওগাঁ সরকারি কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করে।
৪৫ বছর বয়সী সুলতানা জেসমিন নওগাঁ শহরের কালিতলা মহল্লার নওগাঁ পৌরসভা ও চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। শহরের জনকল্যাণ মহল্লার একটি ভাড়া বাসায় থেকে নিয়মিত অফিসে যাতায়াত করতেন তিনি।
র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যুর খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক। এ ঘটনায় এই নারীর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তলব করে হাইকোর্ট। পরে আদালতে এই রিপোর্টসহ যাবতীয় তথ্য জমা দেয়া হয়।
র্যাব জানায়, জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় র্যাবের ১১ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।