মেয়ের খোঁজ নিতেন না তামিমা

ক্রিকেটার নাসির হোসেনের নববিবাহিত স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি তার মেয়ের কোনো খোঁজখবরই নিতেন না। এমনটা জানিয়েছে তামিমা ও রাকিবের শিশুকন্যা রাফিয়া হাসান তুবা নিজেই।

তুবা জানায়, তার মা কখনই তার তেমন একটা খোঁজখবর নিতেন না। সে তার মায়ের বিয়ের খবরও সে জেনেছে টেলিভিশনে দেখে। তুবার বাবা রাকিব হোসেন জোর করে তাকে তার মা তাম্মির বাসা থেকে নিয়ে এসেছে বলে তাম্মি যে অভিযোগ করেছে- সেটাও মিথ্যা বলে জানিয়েছে তুবা।

নানির বাড়িতে নানি তাকে মারধর করত অভিযোগ করে তুবা জানায়, নিজের ইচ্ছাতেই বাবার সঙ্গে দাদি বাড়ি চলে এসেছি। এখানেই আমার জন্মদিন পালন হয়েছে। এই বাড়ির সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে। মা আগেও ভালোবাসত না আর এখন তো সে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করেছে।

রেকর্ডকৃত বক্তব্যে তুবা জানায়, তার বাবা রাকিবকে দেখতে পারত না তাম্মির মা। তাকেও কারণে-অকারণে চড়-থাপ্পড় দিত। এছাড়া বাসায় তাকে সারাক্ষণ ধমকের ওপর রাখত তারনানি। একটু এদিক-সেদিক হলেই রাগারাগি আর গালাগালি করত। এ কারণে সে নিজের ইচ্ছায় বাবার সঙ্গে দাদির কাছে চলে আসে।

বাবা তাকে অনেক ভালোবাসে উল্লেখ করে তুবা জানায়, মা আমাকে কখনই তেমন একটা ভালোবাসতো না। আদরও করতো না। অধিকাংশ সময় সে বাসার বাইরে থাকত। নিজে থেকে কখনো আমায় ফোন দিত না। আমি ফোন দিলে ব্যস্ত আছি বা প্লেনে আছি বলে লাইন কেটে দিত। 

তুবা আরও জানায়,বাবা দাদি দাদা চাচ্চু আমায় অনেক ভালোবাসে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তুবা বলে- মা এখন আর আমায় ফোন দেয় না। আমার সঙ্গে কথাও বলে না। মা অনেক পচা হয়ে গেছে। সে আরেকজনকে বিয়ে করেছে। আপনারা আমার মাকে এনে দিন। আমি মা আর বাবাকে নিয়ে একসঙ্গে থাকব।

শুভ মাহফুজ