আর্কাইভ থেকে জাতীয়

নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজন নেই, সচিবালয় থাকলেই যথেষ্ট : ইসি মাহবুব

গত কয়েকদিনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যা হয়েছে তাতে নির্বাচন কমিশন থাকার প্রয়োজন নেই। এর বদলে একজন সচিবের অধীনে সচিবালয় থাকলেই যথেষ্ট। বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

রোববার (১৪ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‘দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে আমার কথা’ শীর্ষক লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মাহবুব তালুকদার বলেন, বর্তমান কমিশনের মেয়াদ যতই ফুরিয়ে আসছে, নির্বাচন ব্যবস্থা ও অবস্থা দেখে ততই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছি। দেশে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অসহিষ্ণু মনোভাব গণতন্ত্রকে অন্তিম অবস্থায় নিয়ে গেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্রকে আমরা লাইফ সাপোর্ট থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চাই। 

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও সুদীর্ঘ ৫০ বছরে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন প্রণয়ন করা হয়নি। নির্বাচন প্রক্রিয়া সংস্কারের জন্য এ আইন প্রণয়ন অবধারিত হলেও তা যথেষ্ট নয়। এতে নিরপেক্ষভাবে সব রাজনৈতিক দলের স্বার্থ সংরক্ষণ করা আবশ্যক এবং তা সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়। 

প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন এখন আইসিইউতে থাকার মতো অবস্থায় আছে। আর এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে গণতন্ত্র এখন লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। বলেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে রক্তাক্ত নির্বাচন বললে অত্যুক্তি হবে না-  মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় ও তার আগে-পরে এই পর্যন্ত ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। জীবনের চেয়ে নির্বাচন বড় নয়- এই বার্তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের কাছে পৌঁছাতে সম্ভবত ব্যর্থ হয়েছি। 

তিনি আরও বলেন, গত ১১ নভেম্বর ৮৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৮০ জন চেয়ারম্যান পদে আসীন হন। একে আক্ষরিক অর্থে নির্বাচন বলা যায় না। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই, সেখানে নির্বাচন নেই।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন