আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

চট্টগ্রামে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা কাজ। নির্বাচনে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন ভোটার। এদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন ও নারী ২ লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ১৯০টি কেন্দ্রের এক হাজার ৪১৪টি কক্ষে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে নোমান নোমান আল মাহমুদ, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপির কামাল পাশা এবং একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁওয়ের শমসের পাড়া হাজী চাঁন্দ মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহদ্দারহাটের এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চান্দগাঁও সিডিএ পাবলিক স্কুল, বায়েজিদ বোস্তামী থানার রিডার্স স্কুল, পাঁচলাইশের রহমানিয়া উচ্চ ও জামিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসাসহ কয়েকটি কেন্দ্রে ঘুরে তেমন কোনো ভোটারের উপস্থিতি দেখা যায়নি। অলস বসে থাকতে দেখা যায় নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। এছাড়াও বোয়ালখালী উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে একই অবস্থা জানা গেছে।

 

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট শেষ হয়েছে। এখন গণনা চলছে। নির্বাচন ঘিরে এখনো কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার ও র‍্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন ও নারী ভোটার দুই লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন।

উল্লেখ্য, গেলো ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। পরে আসনশূন্য ঘোষণার গেজেট ইসিতে এলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে কমিশন।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন