স্বামী চেয়ারম্যান প্রার্থী, আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই স্ত্রী
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নৌকা প্রতীক পেয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরপরই তার দুই স্ত্রী স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন দুলাল মাস্টার।
দুলাল মাস্টারের প্রথম স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমা খাতুন স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এলাকাবাসী জানান, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরু-উন-নবী মণ্ডল দুলাল এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তার চাকরি আছে আরও ১২ বছর থাকলেও শুধু চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য তিনি ছয় মাস আগে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন।
তফসিল ঘোষণার পর তিনি ও তার দুই স্ত্রী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। দুলাল মাস্টার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালান এবং রোববার (২১ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক পান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) তিনি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
তার মনোনয়ন দাখিলের আধাঘণ্টা পরই দুই স্ত্রীও একযোগে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এলাকাবাসী আরও জানান, এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরু-উন-নবী মণ্ডলের জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে স্ত্রীদের দু’জনেরই মনোনয়ন দাখিলের বিষয়ে তাদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরু-উন-নবী মণ্ডল ওরফে দুলাল মাস্টার জানান, বিশেষ কিছু কারণে দুই স্ত্রীসহ তিনি নিজে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। কোনো কারণে কারো মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে যাতে পরিবারের কেউ নির্বাচন করতে পারেন সেজন্য তিনি বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছেন।
পাবনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। চেয়ারম্যান পদে ১৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১৩৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৬ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর।
মুক্তা মাহমুদ