আর্কাইভ থেকে জনদুর্ভোগ

তেল-চিনিসহ সবজির বাজারেও অস্থিরতা

বাজারে নতুন করে তেল, চিনি, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও সবজির দাম বেড়েছে। অন্যদিকে, ঈদুল ফিতরের আগে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংসের দামও কমেনি। সবমিলিয়ে বাজার করতে গিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার (৫ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। বাজারে কয়েক ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে তেল ও চিনির দাম।

প্যাকেটজাত চিনি খুচরা বাজারে কোথাও মিলছে না। খোলা চিনি কিনতে হলে খুঁজতে হচ্ছে দুই-চার দোকান। কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম আরও বেড়ে কেজিপ্রতি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ১২০-১২৫ টাকার মধ্যে ছিল।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটারে ১২ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের লিটারে লিটারে ৯ টাকা বেড়েছে। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম বেড়েছে ৫৪ টাকা। এছাড়া পাম সুপার ওয়েলের দাম লিটারে বাড়ানো হয়েছে ১৮ টাকা।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেন, বাজার যেন মধ্যবিত্তদের জন্যও আতঙ্কের জায়গা হয়ে গেছে। মাসের ফর্দ কাটছাঁট করতে করতে এমন অবস্থায় ঠেকেছে যা না হলেই চলে না। তারপরও কুলানো যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ভালো খাবার ছেড়ে সস্তা খাবার খুঁজতে হচ্ছে এখন। আমিষ প্রোটিন ভিটামিন এগুলো কী খাওয়া না খাওয়া দরকার, সেসব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হচ্ছে শুরু দামের চোটে। বিলাসী পণ্য কেনা বাদ, নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক কিছুই এখন কেনা যাচ্ছে না।

অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ, ঈদের পর থেকে কোন চিনির সরবরাহ পাননি। কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা অন্য পণ্যের অর্ডার নিলেও চিনি নেই বলে পরিস্কার জানিয়ে দিচ্ছে।

তেল-চিনির পাশাপাশি চোখ রাঙ্গাচ্ছে পেঁয়াজ, আদা ও রসুন। ঈদের পর থেকে মসলাজাতীয় পণ্য তিনটির দামও বেশ বেড়েছে। আগে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। যা এখন বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

একইভাবে আমদানি করা চায়না রসুনের কেজি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর দেশি রসুনের কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। রোজার ঈদের দুই-এক দিন পরও চায়না রসুনের কেজি ছিল ১৩০ টাকার আশপাশে। আর দেশি রসুন বিত্রিক্র হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

দফায় দফায় দাম বেড়ে খুচরা বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা ঈদের আগে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে ছিল। আর গত বছরের এ সময় আলুর দাম ছিল ১৬ থেকে ২০ টাকা।

অন্যদিকে, সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সবজির দামও অনেক চড়া। পেঁপের কেজিও ৬০ টাকায় ঠেকেছে। এ দামের নিচে কোনো সবজি মিলছে না। করলা প্রতিকেজি ৮০-১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৫০-৮০ টাকা, সজিনা ১২০-১৪০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি দর বেড়েছে আদার। দেশি আদা ২০০ থেকে ২২০ এবং আমদানি করা চায়না আদার কেজি ২৮০থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক সবজির বিক্রেতা বলেন, সব ধরনের সবজি কিনতেই লাগছে বেশি, বেচবো কমে কেমনে? সারাদেশে বৃষ্টিবাদল হচ্ছে এ জন্য সবজির সরবরাহ কম। আর এ বছর সবজির আবাদও কম হয়েছে বলে জানি।

https://youtu.be/P6Zhw2sm_MA

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন