আর্কাইভ থেকে টুকিটাকি

নীতা আম্বানি এই বয়সেও এতো ফিট কীভাবে?

নীতা আম্বানি এই বয়সে এতো ফিট থাকেন কীভাবে? তার ওয়েট লসের সিক্রেট কি? তিন ছেলে মেয়ের মা, দেখে কেউ বলবে? তার ডায়েটে কোন খাবার থাকে? যে কারণে এই বয়সেও এত সুন্দরী মুকেশ-পত্নী। তাঁর সৌন্দর্যের সিক্রেটটা কী? বয়স প্রায় ৬০ ছুঁই ছুঁই, কিন্তু দেখতে ৩০ এর যুবতীর মতো। খাবার থেকে শুরু করে জল পর্যন্ত, সবকিছুই নামিদামি ব্র্যান্ডের। আপনিও নীতা আম্বানির মত ঝকঝকে-তকতকে হতে চান? জানুন কী কী করতে হবে আপনাকে। কোন সিক্রেট ডায়েট চার্ট ফলো করেন নীতা আম্বানি? জানলে অবাক হবেন। খাবার খান মেপে মেপে। পান করেন বিশেষ পানীয়। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানি। যার চেহারায় বিন্দুমাত্র বয়সের ছাপ নেই। তিনি সবসময় লাইমলাইটে থাকেন। বয়স ৬০ ছুঁইছুঁই ! কিন্তু মুখ দেখলে বোঝাই যায় না। কীভাবে বয়সকে নিজের থেকে দূরে রেখেছেন ?এমন কী খান? বছর তিনেক আগে তিনি প্রায় ১৮ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন। ক্রমশ প্রকাশ্যে আসে তার মোটা থেকে রোগা হওয়ার রহস্য। অনন্ত আম্বানি রোগা হওয়ার জন্য ডায়েট করছিলেন। তার অনেক কিছু খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তাই ছেলের সঙ্গেও তিনিও ডায়েট শুরু করেন ফিট থাকার জন্য। ছেলে যা খেতেন নীতা আম্বানিও তাই খেতেন। এমনকি ছেলের সঙ্গে হাঁটতে যেতেন। শরীর চর্চা করতেন। বয়সটা যে শুধুমাত্র সংখ্যা তা তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন। দেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তির স্ত্রীর বয়স প্রায় ৬০-র কাছে, কিন্তু চেহারার সঙ্গে কোন মিল পাবেন না। পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে ক্রিকেটের মাঠ, সব জায়গাতেই তিনি বেশ সক্রিয়। নীতা আম্বানি বরাবরই একটু ফিট থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু কীভাবে ফিট থাকেন তিনি? শোনা যায় মুকেশ-পত্নী নিয়মিত শরীর চর্চা করেন। ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে খান কয়েকটা বাদাম আর আখরোট। ব্রেকফাস্টে থাকে ডিমের অমলেট। সারাদিনের খাবারের তালিকায় কোন জাঙ্ক ফুড বা ফাস্টফুড থাকে না। পরিবর্তে রেখে দেন প্রচুর সবুজ শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের স্যুপ। ডিনারেও বেশিরভাগ দিন শাকসবজি। আর স্যুপ খেয়ে থাকেন। ফিট থাকতে নিয়মিত সাঁতার কাটেন, নাচও করেন। নীতা আম্বানি সম্পর্কে আরেকটা সিক্রেট রয়েছে। শোনা যায়, তিনি যৌবন ধরে রাখতে বিশেষ পানীয় নিয়মিত পান করেন। তিনি সাঁতার, জিম, যোগব্যায়ামের পাশাপাশি প্রতিদিন বিটরুটের রস পান করেন। রাতে খাবার খান একেবারে হালকা। মশলাদার খাবার থেকে নিজেকে দূরেই রেখেছেন। এছাড়াও তিনি ফল খেতে বেশ ভালোবাসেন। যখনই খিদে পায় তিনি ফল খান। ত্বক আর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ডিটক্স ওয়াটারও পান করেন। নীতা আম্বানি ছিলেন একেবারে মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে। স্বপ্ন দেখতেন চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াবেন। তিনি একজন নৃত্যশিল্পীও। মুকেশ আম্বানির বাবা-মা এক অনুষ্ঠান তার নাচ দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। ঠিক করেন নীতাকে তাদের ঘরের পুত্রবধূ করবেন। তারপর আমূল বদলে যায় নীতা আম্বানির জীবন। এখন নিজের পরিচয়ে তিনি সবার চেয়ে কয়েকধাপ এগিয়ে।

A post shared by NITA AMBANI 🔵 (@nita.ambaniii)

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন