আর্কাইভ থেকে আবহাওয়া

দুর্বল হয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা

উপকূল অতিক্রমরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরর্পূ্ব দিকে অগ্রসর ও সামান্য দুর্বল হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আজ (৪ মে ২০২৩) বেলা ০৩ টায় সিটুয়ের নিকট দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের স্থলভাগের উপর অবস্থান করছে। সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি আজ রোববার সন্ধা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন ও ক্রমান্নয়ে দূর্বল হতে পারে।

আজ রোববার (১৪ মে) বেলা ৪টায় এ তথ্য জানানো হয়।

এর প্রভাবে উত্তাল সাগর। সেন্টমার্টিনসহ কক্সবাজার উপকূলে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের গতিবেগও বেড়েছে। নাফ নদীতে পানির উচ্চতা বাড়ছে। সেন্টমার্টিন ঘূর্ণিঝড় মোখায় পুরো আক্রান্ত হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, তীব্র বেগে ঝড়ো হাওয়া ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত বেশকিছু গাছ ও ঘর ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিনের জনপ্রতিনিধি এবং সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। দুপুর ১ টা থেকে শুরু হওয়া তীব্র ঝড়ো হাওয়ার কারণে দ্বীপের বিভিন্ন অংশে গাছ ও বেশকিছু ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তার সঠিক সংখ্যা এখন বলা যাচ্ছে না।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্গ এলাকায় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কি.মি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুন) ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুন:) ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারী সংকেত (পুন:) ০৪ চোর) নন্বর স্থানীয় হঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে৷

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার, চট্গাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার নদী বন্দরসমূহকে ০৪(চার) নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত (পুন:) ০৪ (চোর) নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বাযুচাপ পার্থকোর আধিক্যের প্রভাবে উপকুলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং 'তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যে প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদুরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিমাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৫-০৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন