ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণ করা হবে: তাপস
পর্যায়ক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর সংস্কার, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। বলেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার (২৪ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন নেতার মাজার সংলগ্ন ঢাকা ফটকের সংস্কারকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।
তাপস বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও এই প্রথম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঐতিহ্যের একটি স্থাপনার সংস্কার শুরু করেছে। এছাড়া আমরা লালকুঠিতেও সংস্কার শুরু করেছি। সুতরাং ধাপে ধাপে আমাদের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার, সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা করবো। যাতে বহির্বিশ্বের পর্যটকরা এসে ঢাকাকে বুঝতে পারে, জানতে পারে এবং শিখতে পারে।
মেয়র বলেন, নির্বাচনের সময় আমি বলেছিলাম ঢাকার যে ঐতিহ্য আছে এ ঐতিহ্য আমাদের ধারণ করতে হবে, সংরক্ষণ করতে হবে। শুধু দেশবাসী নয় বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তারই একটি সূচনা আজ আমরা করতে পারছি।
ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণে মেয়র যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা অত্যন্ত সময়োচিত। কারণ এ ঢাকা কেবল রাজধানী হিসেবেই নয়, এর একটা ঐতিহ্য রয়েছে। ৪০০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। ইতিহাসের সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত।
রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, মুনতাসির মামুন ঢাকা নিয়ে বহু কাজ করেছে। আমি আশা করবো, তার সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে এ ঢাকার পুরোনো ঐতিহ্যগুলো আমরা ফিরিয়ে নিয়ে আসবো। পৃথিবীর সব দেশেই ঐতিহ্য সংরক্ষণ একটি বড় বিষয়। আমরাই কেবল আমাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারছি না। আমি আশা করব যে, এর ফলে ঢাকার ঐতিহ্য ফিরে আসবে এবং ঢাকাবাসী আরো উপকৃত হবে।
ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন বলেন, আমরা গত ৫০ বছর ধরে চেষ্টা করছি ঢাকার ঐতিহ্য রক্ষা করতে। আজ খুবই আনন্দের দিন এজন্য যে, আমাদের বর্তমান মেয়রই একমাত্র মেয়র যিনি ঢাকার ঐতিহাসিক কীর্তিগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।