চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করবে জবা ফুল
চুলের যত্নে জবাফুলের ব্যবহার সেই কোন যুগ থেকে। চুল পড়া, খুশকি, পাকা চুলের মতো এমন বহু সমস্যার সমাধান করতে অনেকেরই ভরসা জবাফুল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জবাফুলে থাকা অ্যামিনো এসিড চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। যা প্রাকৃতিক ভাবে চুলের জেল্লা বজায় রাখে। এছাড়াও জবা ফুল মাথায় ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ফলে চুলের ফলিকলগুলিও পুষ্টি পায়। যা নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে নারকেল তেলের সঙ্গে জবাফুলের পাপড়ি বেটে মিশিয়ে নিন। স্নানের আধ ঘণ্টা আগে মাথায় মেখে রাখুন। চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে এই টোটকা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। রুক্ষ চুলের যত্নে কাঠবাদামের তেলের মধ্যে রোদে শুকোনো বেশ কিছু জবাফুলের পাপড়ি কাচের শিশিতে ভরে রেখে দিন। ১০ থেকে ১৫ দিন ২-৩ ঘণ্টা করে সূর্যের আলোতে রাখুন। তার পর স্নানের আধ ঘণ্টা আগে মাথায় মেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। রুক্ষ চুলও হবে রেশমের মতো মোলায়েম। খুশকি দূর করতে জবাফুলের পাপড়ির সঙ্গে তিল তেল মিশিয়ে নিন। স্নানের আধ ঘণ্টা আগে মাথায় মেখে রাখুন। পরে শ্যাম্পু করে নিন। খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন অচিরেই। চুল ঝরা রুখতে অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে জবা ফুলের পাপড়ি বেটে মিশিয়ে নিন। স্নানের মিনিট কুড়ি আগে এই মিশ্রণ মাথায় মেখে রাখুন। চুল পড়া রুখতে এই টোটকা অব্যর্থ। অকালপক্বতা রোধ করতে এক বাটি জলে বেশ কয়েকটি জবা ফুলের পাপড়ি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। জলের রং লালচে হয়ে আসবে। এ বার তা ঠান্ডা করে একটি স্প্রে বোতলে ভরে রেখে দিন। অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে দু-তিন বার ব্যবহার করুন।