পাকিস্তানে তুষার ধস, ১১ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তানের আস্তোর জেলায় তুষারধসের ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।
শনিবার (২৭ মে) সকালে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের আজাদ কাশ্মীরকে সংযোগকারী গিরিপথে তুষারধসের এ ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
দিয়ামার-আস্তোর বিভাগের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক তোফায়েল মীর জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানো এবং উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে বরফের নিচে চাপা ব্যক্তিদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার এবং চিকিৎসকদের একটি দল, অ্যাম্বুলেন্স এবং উদ্ধারকারী দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বরফের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে উদ্ধার কর্মকর্তা সুবাহ খান জানান, কাশ্মীর থেকে ফিরে আসা প্রায় ৩৫ জনের একটি যাযাবরের দল সেখানকার এক গিরিখাতের কাছে শিবির স্থাপন করেছিল। পরে শনিবার ভোরের দিকে তুষারধসের কারণে ওই দলের প্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চারজন নারী ও চার বছর বয়সী একটি শিশু রয়েছে। এই তুষারধসের ঘটনায় তাদের প্রায় ১৫টি গবাদি পশুও মারা যায়।
এদিকে, তুষার ধসে প্রাণহানির ঘটনায় গিলগিট-বালতিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী ও জাতীয় পরিষদের স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সারা বিশ্বে ৮০০০ মিটার উচ্চতার ১৪ টি শৃঙ্গের মধ্যে পাঁচটি এই অঞ্চলে অবস্থিত। এগুলি ছাড়াও, গিলগিট-বালতিস্তানে ৭০০০ টিরও বেশি হিমবাহ রয়েছে এবং প্রায়শই এখানে তুষারপাত, ভূমিধস হয়ে থাকে।
২০১২ সালে গিলগিট-বালতিস্তানের স্কারদু জেলার প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে গায়রি এলাকায় ভয়াবহ তুষার ধসে কমপক্ষে ১২৯ পাকিস্তানি সেনা ও ১১ বেসামরিক লোক প্রাণ হারান।