আর্কাইভ থেকে জাতীয়

বায়ান্ন টিভির প্রতিবেদনের পর চাকরি পেলেন মুক্তা

২৭ বছর পড়াশুনা করে অর্জিত সার্টিফিকেট চাকরির জন্য কোনো কাজে না আসায় তা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন রাজধানীর ইডেন কলেজের ছাত্রী মুক্তা সুলতানা। সম্প্রতি এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়েছে পড়ে। সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দেয়ার ভিডিও অনেকের হৃদয়ে সাড়া দেয়।

এরপরই বায়ান্ন টিভি মুক্তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করে। এ প্রতিবেদনও মানুষের মাঝে আবেগ তৈরি করে। বায়ান্ন টিভির এ প্রতিবেদনটি দৃষ্টিতে আসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের। পরে বায়ান্ন টিভির মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয় মুক্তার সঙ্গে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় তার সঙ্গে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ডেকে নিয়ে কথা বলেন মুক্তার সঙ্গে। তার সার্বিক অবস্থা জানার পর তাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজেক্টে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন পলক।

সোমবার (২৯ মে) সকালে আইসিটি মন্ত্রণালয়ে মুক্তা সুলতানাকে ডাকা হয়। সেখানে কন্টেন্ট ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড সোস্যাল কমিউনিকেশন অফিসার পদে তাকে চাকরি দেয়া হয়।

প্রতিমন্ত্রী বায়ান্ন টিভিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মুক্তাকে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মুক্তার আবেগ, অনুভুতি এবং তার যে অনুভূতি তা তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য তার যে পরামর্শগুলো দুদিন আগে সোস্যাল মিডিয়াতে দেখি, তখন এক দিক দিয়ে তার যে আবেগ তার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। তেমনি তার সংগ্রামী জীবন আমাদের উৎসাহিত করেছে।

পলক বলেন, অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন মুক্তার পরিবার তাকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলো। তখন সে প্রতিবাদ করেছিলো। সে কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে। ঢাকায় এসে পড়াশোনা করেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে থেকে মুক্তার চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন তিনি। সোস্যাল ওয়ার্কের ওপর মাস্টার্স করেছেন মিুক্তা। সে কারণে আমরা মনে করেছি যে, আমাদের একটা প্রজেক্ট আছে যেখানে আগামী ২৫ সালের মধ্যে ১ লাখ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো আইসিটি ডিভিশনের আয়ওতায়। সেই প্রজেক্টে মুক্তা কন্টেন্ট ডেভেলপার। সেখানে সোস্যাল ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড সোস্যাল কমিউনিকেশন অফিসার হিসেবে কাজ করবেন ৬ মাসের জন্য।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৩ মে) ফেসবুক লাইভে এসে নিজের সব সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন মুক্তা। এ সময় সার্টিফিকেটগুলো চাকরির জন্য কোনো কাজে লাগছে না বলে জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন