আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রীর মতামত

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে যাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ে। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

তবে কী মতামত দিয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি খালেদা জিয়ার ভাইয়ের আবেদনের বিষয়ে আইনি মতামত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাঠিয়েছি।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে যেহেতু ফাইল যাবে, এজন্য এটা এভাবে বলতে পারি না। এটা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাবে, তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আরথারাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতার জন্য টানা ২৬ দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ৭ নভেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। এর ৬ দিনের ব্যবধানে খালেদা জিয়াকে আবার ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির পর ১৪ নভেম্বর রাতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে সিসিইউতে নেওয়া হয়। এখন তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা।

তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

এর আগে গত এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। পরে করোনা পরবর্তী জটিলতায় ২৭ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হন। সে সময় এক মাসের বেশি সময় হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন। পরে করোনার টিকা নিতে তিনি দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত ৩ দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে এ মুক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ বলছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়। তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে বলে শর্তও দেওয়া হয়েছে।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন