আর্কাইভ থেকে জাতীয়

ঈদে ১ লাখ গরু আমদানির সুপারিশ

ভারতে গরুর মাংসের কেজি ৩৪৫ টাকা। বাংলাদেশে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। ভোক্তাদের কম দামে মাংস খাওয়াতে কোরবানি ঈদের আগে এক লাখ গরু আমদানির সুপারিশ করেছে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ‘ঈদকে সামনে রেখে পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া।

ক্যাব আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনটি অনলাইনে করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি, সভাপতি ও সদস্যরা।

লিখিত বক্তব্যে ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক জানান, দেশের বাজারে গরুর মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ ভারতের কলকাতায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৬০ রুপিতে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৪৫ টাকা। ভারতে প্রচুর গরু উৎপাদন হয় কিন্তু ধর্মীয় কারণে তারা গরুর মাংস খায় না। সেখানে চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি হওয়ায় দাম কম।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেশি বলে এখানে গরুর মাংসের দাম বেশি। অর্থাৎ ভারতের তুলনায় প্রতি কেজিতে প্রায় ৪৫৫ থেকে ৫০৫ টাকা বেশি। বাংলাদেশে অতিরিক্ত গরুর মাংসের চাহিদার কারণে দাম বাড়তি। চড়া দামের কারণে নিম্ন ও নিম্নবিত্তরা এখন গরুর মাংস খাওয়ার সামর্থ্য হারিয়েছেন। মাঝারি আয়ের সংসারগুলোতে মাঝে-মধ্যে গরুর মাংস খাওয়া এখন দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

‘প্রতি বছর কোরবানির গরুর দাম অত্যধিক থাকে। কারণ হিসেবে খামারিরা বলেন, গরু লালন-পালনে খরচ অনেক বেড়েছে। গো-খাদ্যসহ অন্যান্য খরচও অনেক। সরকারি হিসাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে গরুর উৎপাদন ছিল দুই কোটি ৪৭ লাখ। এছাড়া কোরবানি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন খামারে ও ব্যক্তিগতভাবে অনেক খামারি গরু উৎপাদন করে থাকেন। আবার দেশীয় গরুর খামার ও চামড়া রক্ষার স্বার্থে সরকার ভারতীয় গরু আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। ফলে দেশীয় বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগানের ঘাটতি থাকায় গরুর মাংসের দাম বেড়েছে— এমন দাবি গরুর ব্যবসায়ীদের।’

এ অবস্থায় আসছে কোরবানি ঈদে ভোক্তাদের কম দামে মাংস খাওয়াতে ভারত থেকে কমপক্ষে এক লাখ গরু আমদানির সুপারিশ করছি। তাহলে বাংলাদেশের বাজারে গরুর দাম কমবে। ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরবে— বলেন ক্যাব সাধারণ সম্পাদক।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন