ইংল্যান্ড ভ্রমণে লাগবে না করোনা পরীক্ষা
ইংল্যান্ডে ভ্রমণচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য শর্ত শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
গতকাল বুধবার (৫ জানুয়ারি) এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। খবর: বিবিসি
ইতোমধ্যে যারা করোনাভাইরাসের টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ নিয়েছেন, তাদের আর করোনার পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে যেতে হবে না। আগামীকাল শুক্রবার (৭জানুয়ারি) ভোররাত চারটা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, বরিস জনসনের নতুন এ সিদ্ধান্তে যারা টিকা নেয়নি কিন্তু বয়স ১৮ বছরের নিচে, তাদেরও করোনা পরীক্ষা করতে হবে না। এমনকি আইসোলশনে থাকার যে বিধি ছিল সেটা পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুসারে, এখন র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাটারাল ফ্লো টেস্ট (এলএফটি) করে নিতে হবে ইংল্যান্ডে পৌঁছার পর। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত যে কোয়ারেন্টাইন বিধি ছিল, তা–ও শিথিল করা হয়েছে। ফলে ওই ব্যক্তিকে আর কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। তবে ইংল্যান্ডে পৌঁছার পর যদি কেউ করোনা পজিটিভ হন, তবে তাকে পিসিআর টেস্ট করতে হবে। ওই ব্যক্তি করোনার কোন ধরনে আক্রান্ত, এটা বুঝতে এই পরীক্ষা করা হয়।
পূর্বে ইংল্যান্ডে ভ্রমণ করতে হলে ভ্রমণেচ্ছুক ব্যক্তিকে সেখানে যাওয়ার দুই দিন আগে পরীক্ষা করতে হতো। ১২ বছর বয়সের বেশি সবার জন্য এই বিধি কার্যকর ছিল। এ ছাড়া সেখানে পৌঁছে আবার পিসিআর টেস্ট করে নিতে হতো। আর এ জন্য অর্থ বহন করতে হতো ওই ব্যক্তিকেই। এই পিসিআর পরীক্ষার প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকতে হতো। তবে যারা টিকা নেননি, তাদেরকে পূর্বর নিয়ম মেনেই যেতে হবে ইংল্যান্ডে।
বরিস জনসন তিনি বলেন, নতুন যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলো মূলত ইংল্যান্ডে কার্যকর হবে। তিনি আশা করছেন, যুক্তরাজ্যের অন্য এলাকাগুলো, যেমন উত্তর আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসও এ পথ অনুসরণ করবে।
যুক্তরাজ্যে বেড়ে চলেছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ । এরপরও এমন সিদ্ধান্ত নিল ব্রিটিশ সরকার।
অনন্যা চৈতী