আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

এবাদতের জন্মদিন আজ

নিউজিল্যান্ডে ঐতিকহাসিক টেস্ট জয়ের নায়ক এবাদত হোসেন চৌধুরীর জন্মদিন আজ। ১৯৯৪ সালের এই দিনে সিলেটের মৌলভীবাজারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

দলের জয়ের পেছনে যার সবচেয়ে বড় অবদান এবাদত হোসেনের। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কখনোই না জেতা বাংলাদেশকে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে জয় এনে দেয়া এবাদত পালন করেন অগ্রণী ভূমিকা। দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি শিকার করেন ৭ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসেই তিনি নেন ৬টি উইকেট। দেশকে উপহার দেন ইতিহাস গড়া জয়। টাইগারদের ইতিহাসের পাতায় নিজের নামটা লেখেন এই পেসার। 

এবাদতের জীবনটা বৈচিত্র্যে ভরপুর। শুরুর দিকে এবাদত ছিলেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একজন সৈনিক। সেখানেই ভলিবল হাতে কোর্ট মাতাতেন তিনি। পরে রবি পেসার হান্টের মাধ্যমে নিজের গতি আর উচ্চতা কাজে লাগিয়ে চলে আসেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের নেটে। এরপর তৎকালীন কোচদের পছন্দে পেয়ে যান লাল সবুজের ক্যাপ। কিন্তু নামের সঙ্গে খুব বেশি সুবিচার করতে পারতেন না এ পেসার।

বে ওভালে নামার আগে লজ্জার এক রেকর্ড সঙ্গী ছিল তার দখলে। সবচেয়ে বাজে অ্যাভারেজের টেস্ট বোলারদের তালিকায় এবাদতের নামটা ছিল ওপরের দিকে। দ্বিতীয় ইনিংসে কি যেন হয়ে যায় এবাদতের। কোনো অজানা এক ম্যাজিকে তার লাইন-লেংথ, সুইংগুলো হয়ে উঠে আনপ্লেয়েবল। তার আগুনে গোলায় জ্বলেপুরে ছাড়খার হয় ব্ল্যাকক্যাপদের ব্যাটিং লাইনআপ। ১১ বছরে যা পারেনি ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা, এবাদতের কল্যাণে সে রেকর্ডটাও দখলে নেয় টিম বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের হারায় টিম টাইগার।

টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এতদিন বাংলাদেশি বোলারদের সেরা সাফল্য বলতে ছিল শুধুই স্পিনারদের গল্পগাথা। সেখানেও ভাগ বসান এবাদত। দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ৬ মেডেনে ৬ উইকেট শিকারের এই বোলিং ফিগার এবাদতকে নিয়ে এসেছে বিশ্ব সেরাদের তালিকাতেও। এশিয়ান পেসারদের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়াসিম আকরাম এবং শোয়েব আক্তারের পর এখন থেকে উচ্চারিত হবে একজন বাংলাদেশি পেসারের নাম, এবাদত হোসেন।


হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন