আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

শ্রীলঙ্কাকে উপহার দেয়া হাতিটি ফিরিয়ে নিয়েছে থাইল্যান্ড

শ্রীলঙ্কাকে উপহার দেয়া একটি হাতি ফিরিয়ে নিয়েছে থাইল্যান্ড। ২২ বছর আগে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে উপহার দেয়া ওই হাতিটিকে নির্যাতন করা হয়েছে, এমন অভিযোগে হাতিটিকে ফিরিয়ে নিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ডয়েচ ভেলের এক প্রতিবদেন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ সালে থাই রাজ পরিবার হাতিটি উপহার দেয় শ্রীলঙ্কাকে। তবে সম্প্রতি হাতিটিকে নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া কূটনৈতিক বিরোধের পর হাতিটি ফেরত চেয়েছে থাইল্যান্ড। উল্লেখ্য, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা উভয় দেশেই হাতিকে পবিত্র প্রাণী মনে করা হয়।

রোববার (২ জুলাই) মুথু রাজা নামে ২৯ বছর বয়সী ওই হাতিটি থাইল্যান্ডে পৌঁছেছে। পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে হাতিটির মেডিকেল চেকআপ করেছে থাইল্যান্ড। ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি স্টিলের বিশেষ খাঁচায় ভরে উড়োজাহাজে করে হাতিটিকে থাইল্যান্ডে নেয়া হয়েছে।

উপহার পাওয়ার পর হাতিটিকে একটি বৌদ্ধ মন্দিরে রেখেছিল শ্রীলঙ্কা। তবে সেখানে হাতিটিকে নির্যাতন করা হয়েছে, এমন অভিযোগ পাওয়ার পর এটি ফেরত চায় থাইল্যান্ড। হাতিটির সামনের পায়ে জখম রয়েছে। আর এজন্য তার চিকিৎসা করা হবে বলেও জানিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ।

২০০১ সালে থাই রাজপরিবার ধর্মীয় পূরাকীর্তি স্থানাস্তরের কাজে প্রশিক্ষণের জন্য মুথু রাজাকে উপহার দিয়েছিল। কিন্তু প্রাণী অধিকারকর্মীদের অভিযোগ, মন্দিরে মুথু রাজাকে গাছের গুড়ি টানার কাজে ব্যবহার করা হতো।

নভেম্বরে মুথুর পায়ে বেশ কয়েকটি জখম হয়। পরে সেখান থেকে হাতিটিকে সরিয়ে শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল জুলজিক্যাল গার্ডেনে নেয়া হয়। কয়েক মাসে হাতিটির অধিকাংশ জখমই সেরে উঠেছে। পরে সেখান থেকে আবার ওই মন্দিরে নেয়া হয় মুথু রাজাকে।

এদিকে হাতিটির প্রতি অযত্ন হওয়ার অভিযোগে শ্রীলঙ্কা সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজার কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্ষমা চেয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন