আর্কাইভ থেকে ছাত্র-শিক্ষক

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার ছয় মাসেও সুরাহা হয়নি

প্রায় ছয় মাসেও ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার সুরাহা হয়নি। বিষয়টি নানা মহলে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর। এদিকে আগামী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে বলেছে হাইকোর্ট। বিষয়টি বিশ^বিদ্যালয়ের আইন সেল নিশ্চিত করেছে।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ জানান, ঈদের ছুটি শেষে ক্যাম্পাস খোলার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। ভিসি স্যার ১২ তারিখে আসবেন। ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং করতে করতে হলে কমিটির সভাপতির কাছে ডেট নিতে হয়। আর পদাধিকার বলে ভিসিই সভাপতি থাকেন। আমরা সব রেডি করে রাখছি। স্যার আসলে আমরা মিটিংয়ের ডেট নিব। আশা করছি ১৫ তারিখের মধ্যে ফাইনাল করে ফেলবো। আর এটা রায়ের পর্যায়ে আছে। ১৯ তারিখের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানো হবে।

এর আগে, গত ১২ জুন ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে ক্যাম্পাসে আসেন সাময়িক বহিষ্কার হওয়া পাঁচ ছাত্রী। কমিটির কাছে তারা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। কারণ দর্শানো নোটিশের লিখিত জবাব দেওয়ার পরও কোন বক্তব্য থাকলে তা জানতে এই বক্তব্য গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ। সেখানে ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুনেও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এসময় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে হল, বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত শেষে প্রতিবেদনের আলোকে হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ^বিদ্যালয় থেকে পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগ তাদের তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন