আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ভুতুড়ে পত্রিকা বন্ধ করার ব্যবস্থা করছি : তথ্যমন্ত্রী

যে কেউ যেন সাংবাদিক পরিচয় দিতে না পারে সেজন্য কারা সাংবাদিক হতে পারবেন সেই মানদণ্ড তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ভুতুড়ে পত্রিকা বন্ধ করার ব্যবস্থা করছি। একই সঙ্গে যে কেউ যেন সাংবাদিক পরিচয় না দিতে পারে সেটিরও উদ্যোগ নিয়েছি।’

আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘দৈনিক ভোরের আকাশ’-এর নবরূপে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতাদের অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রেস কাউন্সিলকে অনুরোধ জানিয়েছি, নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কারা সাংবাদিক হতে পারেন সেটি অন্তত নীতিমালা বা মানদণ্ড তৈরি করার।’

ভুতুড়ে পত্রিকা যেমন আছে তেমন ভুতুড়ে অনলাইনও আছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইন পোর্টালের বিষয়ে আমরা এক্রিডেশন কার্ড খুব সতর্কতার সঙ্গে দিচ্ছি। রেজিস্ট্রেশন বিহীন যে অনলাইন আছে তাদের এক্রিডেশন কার্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন অনলাইনের সাংবাদিক যারা শুধু তারাই এক্রিডেশন কার্ড পাবেন। এছাড়া অনলাইনের রেজিস্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনতা ভোগ করেছে। স্বাধীনতা থাকলে তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হয়। যার হাতে অস্ত্র থাকে, তিনি সব জায়গায় গুলি করতে পারেন না। তেমনি সাংবাদিকদের হাতে কলম আছে। তিনি হচ্ছেন কলমযোদ্ধা। তার কলমটি কোথায় ব্যবহার হবে সেই বিষয়টিতেও সতর্ক থাকতে হবে।

ওয়েজ বোর্ড না দেওয়ার বিরুদ্ধে পত্রিকার মালিক মামলা করেছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়েজ বোর্ড যাতে বাস্তবায়ন করা না হয় সেজন্য পত্রিকার মালিকরাই মামলা করেছেন। সুতরাং আমি মনে করি সমস্যা কোথায়, সেটা আপনারা জানেন। কোন মালিকরা মামলা করেছেন সেটিও আপনারা জানেন। আপনাদের ইউনিয়নের ইউনিটিও আছে। আমি আশা করব যেখানে সমস্যা, সেই সমস্যার গোঁড়ায় আপনারা হাত দিবেন।

আইন যাদের জন্য, তারা যেভাবে চাবেন সেভাবে হবে জানিয়ে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটির অনেক ক্ষমতা। আমি আইনমন্ত্রী ও আইন সচিবকে অন্তত ৫০ বার তাগাদা দিয়েছি। যেকোনো আইন কমিটিতে পরিবর্তন পরিমার্জন হতে পারে।

নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, গতকাল নারায়ণগঞ্জে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রচারণা থেকে শুরু করে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। সারাদেশে পাঁচটি পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে। সব জায়গায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। পাঁচটির মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে। 

হাছান মাহমুদ আশা প্রকাশ করে বলেন, ইনশাআল্লাহ আগামী সংসদ নির্বাচনও নির্ভেজাল নির্বাচন হবে। গতকালের নির্বাচনে এটাই প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে বেড়েছে। বিএনপি নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলেও সব জায়গায় তারা ছিল। তারাও নিশ্চয় বুঝতে পেরেছে তাদের জনপ্রিয়তা কোথায় আছে। আমি আশা করব সবকিছুতে বিভ্রান্ত ছড়ানো থেকে সবাই বিরত থাকবেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ভোরের আকাশ পত্রিকার সম্পাদক খালেদ ফারুকী প্রমুখ।


এসআই/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন