একতরফা নির্বাচন করায় কম্বোডিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় শনিবার (২২ জুলাই) জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় বর্তমান ক্ষমতাসীন দল কম্বোডিয়ান পিপল পার্টি (সিপিপি)। খবর রয়টার্সের
সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই দেশটির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। স্থানীয় সময় রোববার (২৩ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়। নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে বিদেশি সহায়তা স্থগিত এবং ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি ১২৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১২০টি আসনে জিতেছে। বেসরকারি ফল অনুসারে, কম্বোডিয়ার সাধারণ নির্বাচন ‘ফ্রি ও ফেয়ার’ কোনোটাই হয়নি।
তিনি আরও বলেন, কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ দেশটির রাজনৈতিক বিরোধী দল, মিডিয়া এবং সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে হুমকি ও হয়রানিতে নিয়োজিত। এটি দেশটির সংবিধান এবং কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার চেতনাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।
মিলার দেশটির সরকারি দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখনও সময় আছে তারা আন্তর্জাতিক মানের একটি নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে। বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা বন্ধ করতে হবে। মিডিয়াকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
গত ৩৮ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে হুন সেন। এ সময়ে তিনি বিরোধী দলের প্রতি বহুবার দমন পীড়ন চালিয়ে। শুধু তাই নয় এ নির্বাচনে যেন বিরোধী দল অংশ নিতে না পারে তার জন্য সকল পথ তিনি বন্ধ করে দেন।