আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

এবার গণঅনশনে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

দ্রুতই কাটেছ না শাবিপ্রবির সংকট। শনিবার (২২ জানুয়ারি) শিক্ষকদের সাথে সাক্ষাতের পর শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনির বক্তব্য এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাল্টা বক্তব্যে বেড়েছে আরও জটিলতা। 

শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনিকে শিক্ষার্থীদের বাস্তব অবস্থা দেখতে ক্যাম্পাসে আসার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা শনিবার রাত থেকে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেছে। আন্দোলনরত সব শিক্ষার্থী অংশ নেবেন অনশনে।

এদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি কিলো রোড প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে এসে শেষ হয়। পরে মুক্তমঞ্চের সামনে উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে সন্ধ্যায় গণঅনশনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে নতুন আরো শিক্ষার্থী অনশনে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ নিয়ে অনশনরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ জনে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৬ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আবারও অনশনে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বৈঠক শেষ হয়েছে। তবে চলমান চলমান সংকট সমাধানে শিক্ষার্থীরা যখন চাইবেন শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল তখনই শাবিপ্রবিতে আলোচনার জন্য যাবেন। ব্যক্তিগত কারণে শাবিপ্রবিতে যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

শনিবার সন্ধ্যায় শাবিপ্রবির শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই সমাধান চাই তার জন্য আমাদের আলোচনা বসা প্রয়োজন। আলোচনা সভায় বসার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় দ্বার খোলা রয়েছে। তারা যখন চাইবেন তখনই আলোচনা হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে পারিবারিক কাজের কারণে যেতে পারছি না। তবে প্রয়োজন হলে আমাদের প্রতিনিধি দল সেখানে যেতে পারেন। 

সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর মন্ত্রীর আহবানে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত থাকলেও সেটি অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত জানালেন শিক্ষার্থীরা। অথবা মন্ত্রীর প্রতিনিধি পাঠালেও তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
 
সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অনশনকারী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদিন বলেন, আমরাও চাই আলোচনা। কিন্তু সেটা অনলাইনে হলে সমস্যা কোথায়! এখন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাও আমরা অনলাইনে দিতে পারি। তাহলে আলোচনাটা অনলাইনেও সম্ভব।
 
এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন