ইবিতে সপ্তাহে একদিন অনলাইন ক্লাস, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে প্রতি সপ্তাহে সোমবার অনলাইন ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহও বন্ধ থাকবে। তবে পূর্বঘোষিত পরীক্ষা ও অফিসসমূহ যথারীতি চলবে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগামী সপ্তাহ থেকেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয়, রেভিনিউ খাতের ব্যয় সাশ্রয় ও হ্রাস করা, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় ২৫% সাশ্রয় করা আবশ্যক। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বকারী সবার মতামত গ্রহণ করা হয়েছে এবং সহমত পোষণ করেছেন।
এদিকে প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, এমনিতেই সপ্তাহে দুইদিন (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) ক্যাম্পাস বন্ধ থাকে। এখন তো তিনদিন বন্ধ হয়ে গেল। অনলাইন ক্লাস যে ইফেক্টিভ হয় না তেমন সেটা আমরা আগেও দেখেছি। করোনার পর এমনিতেই সকল বিভাগ সেশনজটে পড়েছে। আবার অতিরিক্ত বন্ধে ক্লাস-পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটবে।
শিশির নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, একটি ক্লাসরুমে ৪/৫টা ফ্যান থাকে। সেখানে শিক্ষার্থীরা হলে, মেসে বা বাসায় থাকলে সবার আলাদা আলাদা ফ্যান চলবে। ব্যয় সংকোচের নামে উলটো ব্যয় বাড়বে। এই সিদ্ধান্ত এক ধরণের প্রহসন ছাড়া কিছু না।
বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিরুল কবির সৌরভ বলেন, অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে নেওয়া কৌশলে একদিন ক্যাম্পাস বন্ধ রাখা ছাড়া কিছু না। যেখানে ক্যাম্পাসের প্রতিটি জায়গায় ইন্টারনেটের অবস্থা করুণ সেখানে অনলাইন ক্লাসের নামে প্রশাসন একটা প্রহসনের সৃষ্টি করছে। এই সিদ্ধান্তের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতির মুখে পড়বে। করোনার ধাক্কার পর এই ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ডিন ও বিভাগের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। হয়তো আগামী সপ্তাহ থেকেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।