আর্কাইভ থেকে লাইফস্টাইল

সন্ধ্যায় হাঁটার উপকারিতা

হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। হাঁটলে যেমন শরীরচর্চা হয়, তেমনি নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন। সন্ধ্যায় নিয়মিত হাঁটলে এগুলোর বাইরেও পাবেন বেশ কিছু শারীরিক উপকার। চলুন জেনে নেয়া যাক কী কী উপকারিতা আছে।

হৃৎপিণ্ডের সজীবতা: হাঁটা খুব সহজ ও কার্যকর একটি ব্যায়াম। আপনার হৃৎপিণ্ডের ওপরেও স্বাস্থ্যকর প্রভাব পড়ে। নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তচাপ, শক্তিশালী করে হৃৎপিণ্ড, বাড়ায় রক্ত চলাচল। কমায় প্রদাহ, নিয়ন্ত্রণে আনে রক্তে চিনির পরিমাণ।

ভালো ঘুম: দিনের বেলায় সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে সন্ধ্যায় শরীরে মেলানিন তৈরি হয়। এই হর্মোন ঘুমের চক্র স্বাভাবিক রাখে। ফলে রাতে দ্রুত ঘুম আসে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সন্ধ্যায় হাঁটা বিশেষ সহায়ক। তাতে যেমন প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয়, তেমনই সহায়তা করে বিপাক প্রক্রিয়ায়। সেই সঙ্গে দূর হয় বেশি খাওয়ার প্রবণতা। হজমের জন্যও এই অভ্যেস বেশ সহায়ক।

চাপ কমায়: হাঁটাহাঁটি এমনিতেই মানসিক চাপ কমাতে ভীষণ উপকারী। দিনভর নানা কাজে ব্যস্ত থাকার পর সন্ধ্যায় হাঁটাহাঁটি মনকে করে ফুরফুরে।

মুড ভালো করে: নিয়মিত শরীরচর্চায় কেবল শারীরিকই নয়, বিবিধ মানসিক উপকারও রয়েছে। নিয়মিত ব্যায়ামে মেজাজ ভালো থাকে। কমায় হতাশা ও উদ্বেগের মাত্রা। সন্ধ্যায় হাঁটার সময় প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং তাজা বাতাস আপনাকে আরও ভাল বোধ করতে সহায়তা করে।

বাড়ায় উদ্যম: ক্লান্তির কারণে অনেকেই সন্ধ্যায় হাঁটতে চান না। দিনভর কাজ করে সন্ধ্যায় আর শরীর হাঁটতে সায় দেয় না। অথচ হাঁটলে শরীরে উদ্যম আসে। বিশেষত সারাদিন বসে কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশি করে সত্য। সামান্য হাঁটলেই আরও চনমনে, সজাগ ও সক্রিয় হয়ে ওঠে শরীর এবং মন।

শক্তিশালী স্মৃতিশক্তি: সন্ধ্যায় হাঁটার অভ্যাস মানসিক অবসাদ দূর করে। বাড়ায় মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল। পাশাপাশি হাঁটতে গিয়ে আপনি অনেক কিছু দেখেন। অনেক কিছু অনুভব করেন। এর ফলে নতুন নতুন স্মৃতি তৈরি হতে থাকে। এগুলো আপনার অনুভূতি ও সৃজনশীলতাকে প্রভাবিত করে। সব মিলিয়ে, আপনার স্মৃতিশক্তিতেও পড়ে ইতিবাচক প্রভাব।

কেএস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন