আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

চীনকে নিয়ে সামরিক মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই আরব সাগরে চীনকে নিয়ে সামরিক মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে, ভারত মহাসাগরে চলছে তেহরান, মস্কো ও বেইজিংয়ের মহড়া। আঞ্চলিক নিরাপত্তার পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোই এ মহড়ার মূল উদ্দেশ্য বলে উল্লেখ করে দেশগুলো।

ভিন্ন ভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়া ও চীনের যখন তুমুল উত্তেজনা চলছে তখন একাট্টা হলো মস্কো ও বেইজিং। মঙ্গলবার আরব সাগরে হেলিকপ্টার ও যুদ্ধজাহাজ নিয়ে সামরিক অনুশীলন করেন রুশ ও চীনা নৌ সেনারা। যে কোনো পরিস্থিতিতে বাস্তব কৌশল, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন সময়ে জাহাজ আটক অভিযান ও মুক্তির প্রক্রিয়াও দেখানো হয়।

এদিকে ভারত মহাসাগরেও চলছে ইরান, রাশিয়া ও চীনের বিশাল সামরিক মহড়া। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই মহড়ায় তিন দেশের অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ, ট্যাংকার ও আধুনিক প্রযুক্তির সব যুদ্ধ-সরঞ্জামের মাধ্যমে নিজেদের শক্তির জানান দেওয়া হয়। বাইরের যে কোনো হামলা মোকাবিলা ও নিজেদের জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যেই এ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশ তিনটি।
সমুদ্র অঞ্চলে বাইরের দেশের যে কোনো আগ্রাসন তৎক্ষণাৎ কীভাবে রুখে দেয়া যায়, তারই মহড়া সেড়ে নিচ্ছে চীন, রাশিয়া ও ইরানের নৌ সেনারা। পরমাণু চুক্তি নিয়ে দোলচলের মধ্যেই সাম্প্রতিক সময়ে ইরানি জাহাজে বেশ কয়েকবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। আবার ইউক্রেন ইস্যুতে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে মস্কো-ওয়াশিংটন।

অন্যদিকে বাণিজ্যযুদ্ধসহ তাইওয়ান নিয়ে শি জিনপিং সরকারের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভিন্ন ভিন্ন ইস্যুতে তিন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব যখন চরমে ঠিক তখন একাট্টা চীন, রাশিয়া ও ইরান।

যৌথ সামরিক মহড়ায় তিন দেশের অত্যাধুনিক সব রণতরী অংশ নেয়। এরমধ্যে রাশিয়ার মিসাইল ক্রুইসার, ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী জাহাজসহ ট্যাংকারও রয়েছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের তিনটি যুদ্ধজাহাজসহ ১৪টি রণতরী এই মহড়ায় অংশ নেয়। নতুন প্রযুক্তির হেলিকপ্টারসহ ইরানের ১১টি রণতরী থেকে যুদ্ধের কৌশল দেখানো হয়। আর এতে ইরানের বিশেষ বাহিনী বিপ্লবী গার্ডের সদস্যরাও অংশ নেন।
 
ভারত মহাসাগরের ১৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই মহড়া চালান তিন দেশের নৌ সদস্যরা। পারস্পরিক সহযোগিতার পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যেই এই সামরিক অনুশীলনের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশগুলো।

মুক্তা মাহমুদ 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন