পঞ্চগড়ে তীব্র শীত বইছে, তাপমাত্রা নেমেছে সাতের ঘরে
প্রবাদ আছে মাঘের শীতে বাঘে কাঁপে। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে মাঘের মাঝামাঝিতে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে গেছে। ঘন কুয়াশার সাথে বইছে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের শীত কাতর মানুষ। সাধারণ মানুষের জবুথবু অবস্থা।
আজ শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে। গত ১৫ দিন ধরে পঞ্চগড়ে ৭ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠা-নামা করছে।
গতকাল দুপুরের একটুখানি সুর্যের মুখ দেখা দিলেও হিম শীতল বাতাসে সুর্য তাপ ছড়াতে পারেনি। বেলা গড়ার সাথে সাথে কুয়াশায় ঢেকে গেছে সমগ্র এলাকা। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঝড়ের মত বাতায় বয়ে গেছে। শীত জেঁকে বসায় কাজে যেতে না পেরে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ গুলো চরম দুর্ভোগে পড়েছে। শীত বস্ত্রের অভাবে অনেকে কষ্ট পাচ্ছে। কেউ কেউ খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
অপর দিকে শীত জনিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে। শিশু ও বৃদ্ধরা শীত জনিত জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতাল গুলোতে রোগীর ভীড় বেড়েছে।
পশু পাখিরাও শীতের কবলে পড়েছে। গৃহকর্তারা গৃহপালিতে পশুদের শীত থেকে রক্ষায় গরু ছাগল ও মহিষের গায়ে ধকড়া ও চট জড়িয়ে দিচ্ছে। তীব্র শীতে কৃষকরা বোরো রোপন এখনও পুরোদমে শুরু করতে পারেনি।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, শুক্রবার সকাল ৯ টায় ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে পঞ্চগড় শীতের তীব্রতা আরো বেড়ে যাবে।
এদিকে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো.জহুরুল ইসলাম জানান,এ পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে ৩০ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বরাদ্দ পাওয়া কম্বল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।