ছাত্রীদের ধোঁয়াশায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে আফগানিস্তানে
ডিপ্লোমা সম্পন্নের পর কাবুলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সনদ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আফগান ছাত্রীরা।
আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে আফগানিস্তানের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালেবান। দেশটির ভারপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী রোববার (৩০ জানুয়ারি) এই ঘোষণা দেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হলেও মেয়ে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পারবেন কি না সে বিষয়ে নিশ্চুপ রয়েছে গোষ্ঠীটি।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
গত বছরের আগস্ট মাসে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে এসব বিশ্ববিদ্যালয় এখনও বন্ধ রয়েছে।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী শেখ আবদুল বাকি হাক্কানি জানান, আফগানিস্তানের যেসব প্রদেশে এখন উষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে সেখানে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুনরায় চালু হবে। আর যেসব প্রদেশে এখন ঠাণ্ডা আবহওয়া চলছে সেখানে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে।
অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হলেও মেয়ে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরতে সক্ষম হবেন কি না সেটি পরিষ্কার করেনি তালেবান কর্তৃপক্ষ। আবার মেয়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরার সুযোগ দেওয়া হলেও তাদের জন্য পৃথক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না সেটিও উল্লেখ করেনি তারা।
কারণ মেয়ে শিক্ষার্থীদের পৃথক শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হবে বলে ইতোপূর্বে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তালেবান কর্মকর্তারা।
রয়টার্স বলছে, গত বছরের আগস্টের মাঝামাঝি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে প্রায় ৬ মাস পার হতে চললেও আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অংশে কেবল ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থা চালু আছে। এছাড়া বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও খুলেছে দেশটিতে। তবে এসবের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়ে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরতে সক্ষম হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০ বছর পর গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেয়। অবশ্য সরকার গঠন করলেও বিশ্বের কোনো দেশই এখনও পর্যন্ত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। এর জেরে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ও এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থাও আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তাসহ অর্থ সাহায্য পাঠানো বন্ধ করে দেয়।
মুক্তা মাহমুদ