ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা কঠিন সময় পার করছেন : কংগ্রেস প্রতিনিধিদল
কক্সবাজারে আশ্রয়ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা কঠিন সময় অতিবাহিত করছেন। এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদা ও সমস্যা একই। বলেছেন বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানরা।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় কক্সবাজারে শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলের দুই সদস্য সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। এর আগে একই দিন সকালে কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল কক্সবাজার বিমানবন্দরে নেমে আইএসসিজির অফিস হয়ে ক্যাম্পে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির কংগ্রেস সদস্য এড কেইস ও রিপাবলিকান পার্টির রিচার্ড ম্যাকরমিকের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আছেন ১১ সদস্য। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান ও প্রায় চার ঘণ্টা সময় সেখানে অবস্থান করেন।
কংগ্রেসম্যানরা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব বহন করা ও তাদের সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার দায়িত্ব মিয়ানমার সরকারের। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশের পক্ষে এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার ভার বহন করা কঠিন। তাই রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা ও উত্তরণে বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি’।
সন্ধ্যায় সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে তারা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। রোহিঙ্গা সমস্যা হঠাৎ করেই সমাধান সম্ভব নয়। তাই তাদের আশা বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের। তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করলে তারা তাদের পরিবার চালাতে পারবেন। এ কঠিন কাজটি বাস্তবায়ন করতে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান এবং তাদের সাহায্যে প্রত্যেক দেশের চেষ্টা এবং বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা আশাবাদী, খুব শিগগির রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে’।
প্রতিনিধিদলের সদস্য রিপাবলিকান পার্টির রিচার্ড ম্যাকরমিক বলেন, ‘রোহিঙ্গা, রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনায় জড়িত কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপে যে তথ্য পেয়েছি, তা লিখিতভাবে উপস্থাপন করা হবে। রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার’।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির কংগ্রেস সদস্য এড কেইস বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আলাপকালে রোহিঙ্গারা তাদের খাদ্য সহায়তা কমিয়ে দেওয়া, লেখাপড়ার ব্যবস্থা, বর্তমানের জীবনযাপন নিয়ে কথা বলেছেন। রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে দাবি জানিয়েছেন’।
তিনি আরও বলেন, ‘এসব বিষয় প্রতিবেদন আকারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে অবহিত করা হবে। এক মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবিকতার উদাহরণ তৈরি করেছে। এজন্য বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই’।