আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ফিরোজার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল থেকে বেড়িয়েছেন খালেদা জিয়া

কিছুক্ষণ আগে গুলশানের বাসা ফিরোজার উদ্দেশ্যে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে রওনা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।  ৮১ দিন পর আজ মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গুলশানের বাসায় যাচ্ছেন তিনি। 

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল হওয়ায় এবং তিনি নিজেই বাসায় ফিরতে আগ্রহী হওয়ায় চিকিৎসকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এটি অপরিবর্তিত থাকবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না বলে জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গঠন করা বেগম খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড। 

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একটি সংবাদ সম্মেলন করে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গঠিত বেগম খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড। সেখানে জানানো হয়, খালেদা জিয়ার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। জীবন সংকটে পড়ার মতো অবস্থায় নেই। তবুও পুনরায় ব্লিডিংয়ের শঙ্কা থেকেই যায়।

চিকিৎসকেরা জানান, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও তার লিভার সিরোসিসের চিকিৎসা করা যায়নি। টিআইপিএস করা দরকার তবে সেটা দেশে সম্ভব নয় বলে জানান চিকিৎসকরা। এছাড়া দেশের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় হাসপাতালের পরিবর্তে বাসায় রেখে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

গেলো বছরের ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। সেদিন রক্ত বমির পরপরই খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম তাঁর চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। ৭৭ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা গণমাধ্যমকে জানান, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের রক্তক্ষরণ আপাতত বন্ধ রয়েছে। তাই তাঁকে বাসভবনে রেখেই চিকিৎসার চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছে। এ জন্য তাঁর বাসাতেই চিকিৎসার প্রাথমিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিএনপি সূত্র থেকে জানা গেছে, ইতোমধ্যে খালেদা জিয়াকে বাসভবন ফিরোজায় কর্মরত সবার করোনা টেস্ট করা হয়েছে। পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে পুরো বাসভবন।

উল্লেখ্য, গেল বছর ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ায় খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। 
তিনবার এই রক্তক্ষরণ সামাল দেওয়া গেলেও চতুর্থবারের জন্য আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তারা।

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন