শেরপুরে পিকনিকের গাড়ি উল্টে নিহত দুই, আহত ১৩
শেরপুরের শ্রীবরদীতে পিকনিক থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রলি উল্টে দু’জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছে অন্তত ১৩ জন। নিহতরা হলেন- উপজেলার খরিয়া কাজিরচর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামের আবু তালেবের ছেলে ইসমাইল (১৮) ও সেলিমের ছেলে সাইদুল মিয়া (১৮)।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার মামদামারী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া গ্রামের ৩০ জন ছাত্র-যুবক লেগুনা গাড়ি ভাড়া করে ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশ কেন্দ্রে পিকনিক করতে যায়।
ঐদিন সন্ধ্যায় সেখান থেকে নিজ গ্রামে ফিরে আসলেও ১৫ জন পিকআপ ভ্যানে করে সাউন্ডবক্স দোকানে ফিরিয়ে দিতে শ্রীবরদী বাজারে যায়। সেখানে সাউন্ডবক্স নামিয়ে একটি ট্রলি দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কলাকান্দা-দিয়ারচর এলাকার ব্রিজের কাছে গেলে দ্রুতগামী ট্রলিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে সবাই গুরুতর আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে ৪ জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হলে রাস্তায় ইসমাইল ও সাইদুল মারা যায়।
আহতদের মধ্যে ওই এলাকার সাগর (২২), মামুন (১৮), লোকমান (১৭), আরিফ (১৬), রাশেদ আলী (১৭), হাফিজুর (১৮), সাকিল (২৫) ও জুয়েলকে (১৪) শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শাকিল (২৪) নামে অপর একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকীরা শ্রীবরদী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শেরপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শ্রীবরদী হাসপাতাল থেকে রোগী পাঠানো হয়েছে। দুইজনকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। বাকিদের চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, এ ঘটনার পরপরই ট্রলির চালক জুয়েল মিয়া পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মুক্তা মাহমুদ