চবিতে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেন চলাচলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে চবি শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা শাটল ট্রেন চলাচল শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে বন্ধ রেখেছেন লোকোমাস্টাররা। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শাটল ট্রেনের ছাদে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় গাছের ধাক্কায় ১৬ শিক্ষার্থী আহতের ঘটনার পর বন্ধের এ সিদ্ধান্ত আসে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চবির শাটল ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে। যাদের ক্লাস পরীক্ষা আছে, তাদের জন্য জরুরি ৮টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল ৯টায় বটতলী পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন থেকে তিনটি এবং ষোলোশহর স্টেশন থেকে চারটি বাস ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। ’
রোকন উদ্দিন বলেন, ‘এখনো শিউর করে বলা যাচ্ছে না কখন থেকে ট্রেন চলবে। তবে, আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি, যত দ্রুত সম্ভব শাটল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য। ’
নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লোকোমাস্টাররা ট্রেন না চালানোর কথা জানান। কবে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব হবে তা বলতে পারছেন না কেউ।
গেলো বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে শাটল ট্রেনের ছাদে করে ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় ফতেয়াবাদ স্টেশনের কাছাকাছি এলাকায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চবির ১৬ শিক্ষার্থী আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর জেরে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অবরোধ করে উপাচার্যের বাসভবন, পুলিশ ফাঁড়ি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসজুড়ে তাণ্ডব চালান তারা। এছাড়া ঘটনার পর ওই ট্রেনের লোকোমাস্টারকে আটকে রেখে লাঞ্ছিত করার অভিযোগও ওঠে।
শাটলে ওই দুর্ঘটনার জন্য ছাদে ওঠা ছাত্রদের দায়ী করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা বলেন, ‘যখন শাটলে দুর্ঘটনা হয়েছিল, তখন শাটলের বগি খালি ছিল। শিক্ষার্থীদের ছাদে ভ্রমণের কোনো প্রয়োজন ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণভাবে ছাদে ভ্রমণের ফলে ওরা দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছিল। সেখানে চালক ও গার্ডের কী দোষ? তাদের কেন মারধর করা হয়েছে? তাই চালকরা নিরাপত্তার অভাবে রয়েছেন। ’ সেজন্য নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে গতকাল শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছেন লোকোমাস্টাররা, যা আজও বন্ধ আছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন না চালানোর কথা জানিয়েছেন লোকোমাস্টাররা।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘শাটল দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় আমাদের দুই লোকোমাস্টারকে লাঞ্ছিত করা হয়। নিরাপত্তাহীনতার কারণে ওরা শাটল চালাচ্ছে না। তাই শাটল চলাচল বন্ধ রয়েছে। ’