আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ইংল্যান্ডকে হটিয়ে সুপার লিগের শীর্ষে বাংলাদেশ

বিশ্ব ক্রিকেট তিন মোড়লের একটি ইংল্যান্ড। যারা কিছুদিন আগেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের খেলা নিয়ে নানারকম প্রশ্ন তুলেছিলো। সাথে যোগ দিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়ার এবং ভারত। ঘরের মাঠে এই তিন দেশকে হারানোর সুখস্মৃতি রয়েছে টাইগারদের। এবার নতুন তালিকায় নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ইংলিশরা। আইসিসি সুপার লিগে তাদেরকে হটিয়ে সবার শীর্ষে বাংলাদেশ।    

দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮৮ রানে হারিয়েছে তারা। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে, দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের দেওয়া ৩০৭ রানের জবাবে ২১৮ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। 

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। ৫২ রান আসে রহমত শাহ’র ব্যাট থেকে। যদিও মোহাম্মদ নাবী এবং রাশিদ খান খানিকটা চেষ্টা করেছিলেন ম্যাচের লাগাম টেনে ধরার। কিন্তু স্পিনার মিরাজ এবং পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপের প্যাভিলিয়নে ফেরেন তারা। নাবী করেন ৩২ রান। রাশিদ খান ফেরেন ২৯ রান করে। 

পেসার তাসকিন  আহমেদ এবং স্পিনার সাকিব আল হাসানে শিকার করেন দুইটি করে উইকেট। এছাড়াও মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাডসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন নেন একটি করে উইকেট। অপরটি হয়েছে রান আউট। যার কৃতিত্ব আফিফ হোসেনের। তাতে ৪৫ ওভার এক বলে অলআউট হয় আফগানরা। 

এর আগে শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে, লিটন দাসের ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিম অর্ধশত রানের ভর করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পর্বতসম রানের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে লিটন ও মুশফিক গড়েন ২০২ রানের জুটি। 

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটিতে ৩৮ রান তোলার পর ফজল হক ফারুকির বলে এলবির ফাঁদে পড়েন তামিম। বাঁচার জন্য রিভিউ নিলেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি। ২ চারে ২৪ বলে ১২ রান করেন এই ওপেনার।

তামিমকে হারানোর পর লিটনকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়েন সাকিব। কিন্তু দলীয় ৮৩ রানে স্পিনার রশিদ খানের বলে এলবির শিকার হন দেশসেরা অলরাউন্ডার। সাকিব ২ চারে ৩৬ বলে ২০ রান করেন।

তৃতীয় উইকেটে মুশফিক ও লিটন ২০২ রানের জুটি গড়েন। যা তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড। এছাড়া সবমিলিয়ে যেকোনো উইকেটে পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। এ নিয়েই পঞ্চমবারই কোনো উইকেটে ২০০ রানের জুটি দেখলো বাংলাদেশ।

ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরির পথে লিটন খেলেছেন ১২৬ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস। যেখানে ছিল ১৬ চার ও দুইটি বিশাল ছয়ের মার। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের ৪১তম ফিফটি করা মুশফিক ৯ চারের সাহায্যে করেছেন ৯৩ বলে ৮৬ রান। ৪৭তম ওভারে পরপর দুই বলে লিটন ও মুশফিককে ফেরান ফরিদ আহমদ। শেষ পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ ২১ রানের জুটি গড়েন। মাহমুদউল্লাহ ৬ রানে ও আফিফ ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। 

আফগানিস্তানের হয়ে ফরিদ আহমেদ দুটি, ফজলহক ফারুকি ও রশিদ খান নেন একটি করে উইকেট। 

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন