আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষে যা বলেছিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র হামলা ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেইসাথে দক্ষিণ, পূর্ব এবং উত্তরের প্রধান ইউক্রেনীয় শহরগুলির চারপাশে যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের মেলিটোপল শহর দখল করেছে।

রুশ সেনাদের তিন দিক থেকে চালানো আক্রমণে ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে ইউক্রেন। যেকোনো সময় রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে তারা। এ অবস্থায় দেশ ও সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে বিদেশি মিত্রদের কাছে আকুতি জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

সেই ভলোদিমির জেলেনস্কি দখলদার ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ইসরায়েলই ভিকটিম’ অর্থ্যাৎ তারা ভুক্তভোগী। ফিলিস্তিনিরা হামলাকারী।

২০২১ সালের ১০ মে থেকে ফিলিস্তিনে টানা বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। গাজা থেকে প্রতিরোধ চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসও। টানা ১১ দিনের ইসরায়েলি হামলায় ৬৭ শিশুসহ ২৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। আর ফিলিস্তিনি বাহিনীর পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে প্রাণ হারান মোট ১২ জন।

ইসরায়েলি হামলায় যখন ফিলিস্তিনে রক্তের বন্যা বইছিল, তখন ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, ইসরায়েলের আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রে ছেয়ে গেছে। কয়েকটি শহরে আগুন লেগেছে। অনেকে ভুক্তভোগী। শোক আর দুঃখ ছাড়া এসব দেখা অসম্ভব। জনজীবনের স্বার্থে অবিলম্বে এ উত্তেজনা বন্ধ করা প্রয়োজন।

আজ ইউক্রেনের অবস্থাও অনেকটা ফিলিস্তিনের মতো। দখলদারদের আক্রমণে রক্তবন্যায় ভাসছে তাদের রাজপথ। এ অবস্থায় ফের আলোচনায় উঠে এসেছে জেলেনস্কির সেই টুইট।

এদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বলছে তাদের আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী এক লাখ মানুষ ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। এবং যুদ্ধ বাড়লে তারা আশঙ্কা করছে ৫০ লাখ পর্যন্ত মানুষ ইউক্রেনে ঘরছাড়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন