আর্কাইভ থেকে জাতীয়

‘গণমাধ্যমের ওপর চাপিয়ে দেয়া ভিসা নীতি অবমাননাকর’

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস’র বক্তব্য স্বাধীন গণমাধ্যমের উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ। দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীন ভূমিকা ও মর্যাদা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য দিয়েছেন। স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপরে চাপ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীরও বরখেলাপ।

মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিকনেতারা এসব কথা বলেন। ‘ভিসানীতির নামে সংবাদমাধ্যমে মার্কিন চাপের প্রতিবাদে’ এই সাংবাদিক সমাবেশের আয়োজন করে ‘জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট’ নামে একটি বেসরকারি সংগঠন।

জাস্টিস ফর জার্নালিস্টস’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওবায়দুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিবিসি টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও দ্যা ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

সমাবেশে সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীন ভূমিকা ও মর্যাদা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্য স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণমাধ্যমের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপের শামিল। ভিসানীতির নামে হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রভু চাই না, বন্ধু চাই।’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বক্তব্য স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপরে চাপ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীরও বরখেলাপ। তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে মার্কিন ভিসার জন্য প্রায় এক লাখ মানুষ আবেদন করেন। কিন্তু ভিসা পান প্রায় ২৭ হাজার মানুষ। তার মানে, এক ধরনের ভিসানীতি যুক্তরাষ্ট্রের আছেই। আজকে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ভিসানীতিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য যেকোনো ধরনের লোভ ও হুমকি থেকে রক্ষা পেতে হবে বলেও মন্তব্য করেন এই সাংবাদিকনেতা।

প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিকনেতা আবদুল জলিল ভূঁইয়া, কুদ্দুস আফ্রাদ,লায়েকুজ্জামান,মানিক লাল ঘোষ,খায়রুল আলম, আবু সাঈদ,শাহীন বাবু, শাহজাহান সাজু।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন