ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের মধ্যে দিয়ে পরমাণু যুগে বাংলাদেশ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) জ্বালানি ইউরেনিয়াম বাংলাদেশকে হস্তান্তর করলো রাশিয়া। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পরমাণুযুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদীর প্ল্যান্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করেন।
রূপপুর পরমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইউরেনিয়ামের প্রথম চালানটি ২৮ সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ ফ্লাইটে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে পৌঁছে। হস্তান্তর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী দেশে পরিণত হলো।
২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরের সময় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রাশিয়ার ঠিকাদার হিসেবে রোসাটম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে।
এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট রয়েছে। রূপপুর পরমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৫ সালের মাঝামাঝিতে চালু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পটিতে ৩০ হাজার মানুষ কাজ করছেন। প্রকল্পটি ৬০ থেকে ৮০ বছর ধরে চালু থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্পের লে-আউটে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতিদিন দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। একইসঙ্গে এটি কার্বন নিঃসরণ কমানোর বৈশ্বিক উদ্যোগ সমর্থন করবে।
২০২১ সালের অক্টোবরে কাঠামোর মধ্যে চুল্লি স্থাপনের মধ্য দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ প্রায় সম্পন্ন হয়। এটি এআইইএ এর মান অনুযায়ী স্থাপন করা হয়। চুল্লি একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান উপাদান। ২০২২ সালের অক্টোবরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি স্থাপন করা হয়।
এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়কমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি, রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।