আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

রাশিয়ায় যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে আটক সাড়ে ৪ হাজার

রাশিয়াজুড়ে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ থেকে গেলো রোববার (৬ মার্চ) ৪ হাজার ৩০০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির মানবাধিকার কর্মী এবং কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার (৭ মার্চ) বিবিসির দেয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

এর মধ্যে এক হাজার ৭০০ জন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে শুধু মস্কো থেকে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এমন তথ্য দিয়েছে রিয়া নিউজ এজেন্সি।

ওভিডি-ইনফো নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা বলছে, মোট ৫৩টি শহর থেকে বিক্ষোভকারীদের আটক করা হয়েছে।

সাম্প্রতিককালে রাশিয়াতে বিক্ষোভের উপর নানারকম বিধি-নিষেধ আরোপ করা সত্ত্বেও ইউক্রেনে হামলার প্রতিবাদে বহু বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হামলা শুরুর পর থেকে ১১ দিনে ১০ হাজারের মতো রাশিয়ানকে আটক করা হয়েছে।

ওভিডি-ইনফো'র একজন মুখপাত্র জর্জিয়া থেকে রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, স্ক্রু একেবারে পুরো শক্ত করে লাগানো হচ্ছে। বিশেষ করে সেনাবাহিনীরা তথ্য চেপে যাচ্ছে। রাশিয়াতে যুদ্ধের প্রতিবাদে এতো বেশি সংখ্যক মানুষকে আটকের ঘটনা খুবই বিরল। 

এর আগে কারাগারে থাকা সরকারের সমালোচক আলেক্সি নাভালনি প্রতিদিন বিক্ষোভ করার ডাক দিয়ে বলেছেন, রাশিয়ানদের “ভীতু কাপুরুষদের জাতি” হওয়া উচিত নয়।

যদিও গত কয়েক বছর ধরে নতুন কিছু আইন প্রণয়নের কারণে রাশিয়াতে বিক্ষোভে অংশ নেয়া বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে।

২০১১ সালের প্রতিষ্ঠিত ওভিডি-ইনফোর তথ্য অনুযায়ী রাশিয়া জুড়ে রোববার (৬ মার্চ) দুই হাজার ৫০০ জনের বেশি লোক আটক করা হয়েছে। সংগঠনটি গ্রেফতার ব্যক্তিদের নাম এবং কোথায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।

সংগঠনটি বলছে, যতজন সম্পর্কে পুলিশ তথ্য দিয়েছে, সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। 

রাশিয়া ছাড়াও আরও অনেক দেশে প্রতিবাদ হয়েছে। রাশিয়ার মিত্র দেশ হিসেবে পরিচিত কাজাখস্তানে হাজার দুয়েক মানুষ একটি শান্তি সমাবেশে অংশ নিয়েছে। বেলারুশ, বেলজিয়াম এবং লন্ডনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।

ইউক্রেনেও নোভা-কাখোভা শহরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাশিয়ান সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ করেছে।

খেরসন অঞ্চলের একটি বিক্ষোভের ভিডিও পাওয়া গেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, গুলি ও গ্রেনেডের শব্দের মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা রাশিয়ানদের "বাড়ি ফিরে যাও" বলে স্লোগান দিচ্ছে।

ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ বলছে রাজধানী কিয়েভের উত্তরপশ্চিম দিকের তিনটি শহর বুচা, হোস্টোমেল এবং ইরপিনে অব্যাহতভাবে রুশ বোমাবর্ষণ চলছে। দেশটি বলছে রাশিয়া এমনকি স্কুল ও হাসপাতালেও আক্রমণ করছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের ১৫ লাখের বেশি মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গেলো বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন