আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের মধুর স্মৃতি

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলা মানেই যেন এক মধুর স্মৃতি, ২০১১ এবং ২০১৫ পর পর দুই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পরাজিত করেছিল ইংলিশদের। সেই ম্যাচ দুটি ছিল টান টান উত্তেজনার, হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জয় করেছিল টাইগাররা।

২০১১ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রথম জয় পায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ইংল্যান্ডকে শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ।  প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ওভারের আগেই ২২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংলিশরা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস গড়েন ৫১ রানের জুটি। তবে সেই জুটি ভেঙ্গে ৩৮ রানে ফিরে যান তামিম। এরপর দলীয় ৭০ ও ৭৩ রানের মাথায় যথাক্রমে জুনায়েদ সিদ্দিকি ও রকিবুল হাসান আউট হয়ে গেলে সাকিবকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে ইমরুল কায়েস।

তবে ১৬২ রানে ৩১তম ওভারের শেষ বলে, দুই রান নিতে গিয়ে আচমকা রান আউট হয়ে যান ইমরুল। এই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ হয়ে উঠে তসের ঘর। দলীয় স্কোরবোর্ডে মাত্র ৭ রান যুক্ত করতেই হারিয়ে যায় আরও ৪ উইকেট।

১৬৯ রানে ৮ উইকেট খোয়ানো বাংলাদেশের সেদিন ত্রাতা হিসেবে হাজির হন শফিউল ইসলাম। স্বীকৃত বোলার শফিউল যেন হয়ে উঠেন একজন পরিপূর্ণ ব্যাটসম্যান।

ক্রিজের অপরপ্রান্তে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে লিখে ফেলেন অবিশ্বাস্য এক গল্প।  একের পর এক চার ও ছয় হাঁকিয়ে ইংলিশদের কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনেন।

 

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয় ছিল পরের আসরেই। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ হারিয়েছিল ইংলিশদের। ওই ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের।  মাত্র ৮ রানের ভিতরেই ফিরে যান দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস।  এরপর সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। তবে ৪০ রান করে সৌম্য ফিরে গেলেও বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম সেঞ্চুরি তুলেন নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাথে মুশফিকুর রহিম করেন ৮৯ রান। আর বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭৫।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রানের চাকা সচল রাখে ইংল্যান্ড।  শেষ দুই ওভারে ইংলিশদের দরকার ছিল ১৬ রান। ৪২ বলে ৪০ রান করে ক্রিজে সেট হয়ে ছিলেন ক্রিস ওকস তবে তিনি ছিল নন স্ট্রাইক প্রান্তে।  স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন স্টুয়ার্ড বোর্ড।

নিজের শেষ ওভার করার জন্য বল হাতে তুলে নেন রুবেল হোসেন।   ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড করেন স্টুয়ারট বোর্ডকে।  এরপর ক্রিজে আসেন জেমস এন্ডারসন। ওভারের তৃতীয় বলে তাকেও বোল্ড করে ১৫ রানের ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন