আর্কাইভ থেকে এশিয়া

জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় যাবে না বিদ্যুৎ,পানি ও জ্বালানি: ইসরাইল

পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ,পানি ও জ্বালানি সরবরাহ করা হবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে ইসরাইল।কোনও কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে না। এমনকি কোনো মানবিক যুদ্ধবিরতিতেও যাবে না ইসরাইলি সেনাবিাহিনী।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ইসরাইলের জ্বালানিমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি দেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়,আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের পক্ষ থেকে গাজার হাসপাতালগুলোর ‘মর্গে পরিণত’হওয়া এড়াতে জ্বালানি সরবরাহের আহ্বান জানানোর পর তিনি একথা বলেন।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গত শনিবার ইসরাইলে বড় ধরনের আক্রমণ শুরু করে। বৃহস্পতিবার ৬ষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধ। দুই পক্ষ মিলে ইতোমধ্যে নিহতের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় প্রায় দেড় লাখ লোক উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে।

হামাসের হামলায় অন্তত ১ হাজার ৩০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। বেশিরভাগ বেসামরিক মানুষকে বাড়িতে বা রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাছাড়া শতাধিক সেনা ও বেসামরিক ব্যক্তিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জিম্মিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী শহরগুলোকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার পর নিহতের সংখ্যা প্রকাশ হতে শুরু করেছে।

হামাসের হামলার জবাবে ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০০ জনে।ছয় হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। জ্বালানির অভাবে একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি না থাকায় হাসপাতালের জরুরি জেনারেটরও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রসের আঞ্চলিক পরিচালক ফ্যাব্রিজিও কার্বোনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন,হাসপাতালগুলোর ডিজেল চালিত জেনারেটর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। সহিংসতা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট মানবিক দুর্দশা পীড়াদায়ক। আমি বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর কাছে অনুরোধ করছি।

ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে,গাজা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে হাসপাতালেও বিদ্যুৎ নেই। এতে ইনকিউবেটরে জন্ম নেওয়া নবজাতক ও অক্সিজেনে থাকা বয়স্ক রোগীরা ঝুঁকিতে পড়ছেন। তাছাড়া কিডনি ডায়ালাইসিস ও এক্সরে নেওয়া যায় না। বিদ্যুৎ না থাকলে হাসপাতালগুলো মর্গে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। রেড ক্রসের এমন আহ্বানের পর ইসরাইলি জ্বালানিমন্ত্রী এক্স-এ বলেন, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া ছাড়া কোনও ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন